প্রবীনদের ৫ লক্ষ টাকার আয়ুষ্মান কার্ড কিভাবে করাবেন? জেনে নিন আয়ুষ্মান প্রকল্পের সমস্ত তথ্য বিস্তারিতভাবে
প্রবীনদের যদি অতিরিক্ত ৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসা বীমা করাতে চান তাহলে আপনার জন্য রয়েছে একটা দারুন সুযোগ
এতদিন পর্যন্ত আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য বীমা পাচ্ছিলেন ভারতের ৪.৫ কোটি মানুষ। তবে এবারে এর সীমা আর একটু বৃদ্ধি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে সরকার এবারে ৬ কোটি মানুষকে স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনতে চলেছেন। আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য বীমার কার্ড থাকলে বয়স্ক নাগরিকরা পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্যাশলেস চিকিৎসা পেয়ে যেতে পারেন। তারা চিকিৎসা করাতে পারবেন দেশের যেকোনো হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমে। বয়স্ক বাবা-মায়েদের চিকিৎসার খরচ সামলাতে যারা হিমশিম খাচ্ছেন তাদের জন্য এই প্রকল্প একটা দারুন লাভজনক প্রকল্প হয়ে উঠতে পারে। ৭০ বছর বা তার বেশি বয়সী হলেই প্রবীণ নাগরিকরা এই প্রকল্প গ্রহণ করতে পারেন। তারা ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন প্রতি বছর স্বাস্থ্য বীমা হিসেবে।
মোদি সরকারের দারুণ যোজনা
আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পটি হলো কেন্দ্রের মোদি সরকারের একটা দারুন প্রকল্প। দেশের ৭০ বা তার বেশি বয়সী মানুষজন কেন্দ্রের মোদি সরকারের এই প্রকল্প গ্রহণ করতে পারবেন। অর্থাৎ কেন্দ্রের এই বিনামূল্যের স্বাস্থ্য বীমার সুবিধা ভোগ করতে পারবেন ৭০ বছর বয়সের বেশি মানুষরা। কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের স্বাস্থ্য বীমা দেশের সব নাগরিকের একটা বড় প্রকল্প। কেন্দ্রের মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, দেশের বহু পরিবার ইতিমধ্যেই আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে চলেছেন। সেইসব পরিবারের ৭০ বছর বা তার বেশি বয়সের প্রবীণ না থাকলে তারা ৫ লক্ষ টাকা করে টপআপ কভারেজ পেয়ে যাবেন এই স্বাস্থ্য বিমায়। এক্ষেত্রে আয়ের যে সীমা ছিল সেটাও এবার থেকে তুলে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার তরফ থেকে। কোন পরিবার যদি ইতিমধ্যেই আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় থাকেন তাহলে সেই পরিবারের প্রবীণ সদস্যরা বাড়তি ৫ লক্ষ টাকার বীমা পেয়ে যেতে পারেন।
বেসরকারি স্বাস্থ্যবিমা থাকলে কী হবে?
কেন্দ্রের এই প্রকল্পে জানানো হয়েছে, যদি কোন পরিবার কোন প্রবীর নাগরিকের বেসরকারি সংস্থার স্বাস্থ বীমা করে রাখে তাহলেও কোন অসুবিধা নেই। কোন প্রবীণ নাগরিকের যদি সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট হেলথ স্কিম, এক্স সার্ভিসমেন্ট কনট্রিবিউটরি হেলথ স্কিম, বা আয়ুষ্মান সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সের কোন স্কিম থাকে তাহলে তারা পৃথক স্বাস্থ্য বীমা কার্ড পেয়ে যাবেন। এই প্রকল্পে আপাতত বাড়তি ৩ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা খরচ বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজ্য সরকার ৪০ শতাংশ দেবে, বাকি ৬০ শতাংশ অর্থ দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। পার্বত্য রাজ্য ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ টাকাই দেবে কেন্দ্র।