নয়াদিল্লি: আজ, বুধবার বহু প্রতীক্ষিত এবং বহুচর্চিত বাবরি মসজিদ ধ্বংসের রায় বের হবে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই। জানা গিয়েছে সকাল এগারোটা নাগাদ রায় দিতে পারে লখনউ সিবিআই কোর্ট। ইতিমধ্যেই আদালতকক্ষে পৌঁছে গিয়েছেন বিচারক। দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে চলা এই মামলার নিষ্পত্তি আজ হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। মূল অভিযুক্ত বত্রিশ জন। সঙ্গে আরও লাখো অজ্ঞাতপরিচয় করসেবক। তবে ২৮ বছর ধরে এই মামলা চলায় ইতিমধ্যেই ১৬ জন অভিযুক্ত প্রয়াত হয়েছেন। অযোধ্যা জমি বিতর্কে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কোনও প্রভাব এই মামলায় পড়ে কিনা, তা নিয়েই এখন পর্যালোচনা হচ্ছে বিভিন্ন মহলে।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দশ মাস পর চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। সংঘ পরিবারের প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে নাম ছিল লাল কৃষ্ণ আদভানী, মুরলি মনোহর এবং উমা ভারতীর। ২৮ বছর ধরে চলা এই মামলায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নাটকীয় মোড় সকলের সামনে উঠে আসে। এমনকি অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে মামলা চলার ফলে ১৬ জন মূল অভিযুক্ত ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন। বাকিদের মধ্যে বেশিরভাগই বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছেন।
এই মামলায় দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে প্রায় সাড়ে তিনশো সাক্ষ্য শুনেছে আদালত। সাড়ে ছশো নথি খতিয়ে দেখা হয়েছে। তবুও আজ পর্যন্ত এই মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। তবে আজকে এই মামলার নিষ্পত্তি অবশেষে হবে কি? এই প্রশ্নই সকলের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। এখন কী রায় সুপ্রিম কোর্ট দেয়, সেটাই দেখার।
এই মামলাকে কেন্দ্র করে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে অযোধ্যা এবং কলকাতাকে। মামলার রায় বেরোনোর পর যাতে কোনওরকম অশান্তি সৃষ্টি না হয়, তা দেখার জন্য থানাগুলোকেও অ্যালার্ট করে দেওয়া হয়েছে। লালবাজার-এর তরফ থেকে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রয়োজনে যাতে র্য্যফ নামানো সম্ভব হয়, তার জন্য প্রস্তুতি আগে থেকেই সেরে ফেলা হয়েছে। সব মিলিয়ে আর কিছুক্ষণের মধ্যে কী রায় দেয় আদালত, সেদিকেই তাকিয়ে আছে গোটা দেশ।