এবারের পুজোটা প্রতিবারের থেকে একেবারেই আলাদা কারণ দুনিয়া জুড়ে এখন করোনার বাড়বাড়ন্ত। তাই পুজোর মাঝেও মানতে হবে করোনার বিধি। কিন্তু এবার দশমীতে সংক্রমণ এড়াতে বন্ধ রাখা হচ্ছে বাগবাজারের সিঁদুর খেলার প্রথা৷এই সংক্রমণকালে ১০০ বছরে প্রথমবারের জন্য বন্ধ সিঁদুর খেলা৷ জানান হয়েছে পুজা প্রাঙ্গণে অপেক্ষা বা আড্ডা দেওয়া যাবে না৷
কিছু দিন আগেই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটির কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসবের পাশাপাশি দমকল এবং পুরসভাগুলি পুজো কমিটি গুলির থেকে কোনও ফি নেবে না বলেও জানান দেন তিনি। এমনকি করোনা বিধি নিয়ে দুর্গাপুজো হওয়ার কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এছাড়াও এ বছর অনুদান বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। আগের বছর প্রতিটি কমিটিকে ২৫ হাজার টাকা করে এবং মহিলা পরিচালিত কমিটি গুলিকে ৩০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছিলো। এমনকি বিদ্যুতের ক্ষেত্রে প্রতিটি পুজো কমিটি ৫০ শতাংশ ছাড় পাবে বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজো উদ্যোক্তা এবং পুলিশের উদ্যোগে মণ্ডপে মাস্ক রাখতে হবে, যাতে কারও কাছে মাস্ক না থাকলে তাঁকে মাস্ক দেওয়া যায়৷
প্রত্যেকটা পুজামন্ডপেও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও যারা ঠাকুর দেখতে আসবেন তাদের বজায় রাখতে হবে সামাজিক দুরত্ব। সব মেনেই দেখতে হবে এ বছরের দুর্গা পুজো। এছাড়া মন্ডপের মাঠে ঢোকা-বেরনোর গেট থাকবে আলাদা এছাড়াও এবার একসঙ্গে ২০ থেকে ২৫ জনের বেশি ঢোকা যাবেন না মণ্ডপে৷