স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকর গুটখাসহ তামাককজাত দ্রব্য। কিন্তু কতজন এই কথা মানে বলুন তো? এসব দ্রবাদি বিক্রি কমানোর জন্য কর বাড়ানো হয়৷ তবুও মানুষ সেই কর দিয়ে এগুলি কেনে। তবে সাধারণ মানুষের মঙ্গলের জন্য দেশের বহু রাজ্যই ধীরে ধীরে গুটখা, পান মশলা নিষিদ্ধ করার পথে হেঁটেছে। এবার এই বন্ধের পথে পথিক হলেন পশ্চিমবঙ্গও। একবছরের জন্য রাজ্যে নিষিদ্ধ হতে চলেছে গুটখা, পান মশলা।
তামাক বা নিকোটিনজাত যে কোনও দ্রব্য আমাদেএ স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকারক, এর থেকে বেশিরভাগ মানুষ ক্যান্সারের স্বীকার হয়েছেন। তাই এবার তামাক ও নিকোটিন জাত গুটখা ও পানমশলা ক্র্য বন্ধ করার জন্য ব্যান করে দিয়েছে প্রশাসন। সোমবার রাতেই নবান্ন থেকে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়। আগামী এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ বলে বিবৃতি জারি করা হয়েছে।
আগামী ৭ নভেম্বর থেকে গুটখা ও পানমশলা কেনা, বেচা বন্ধ হয়ে যাবে। এমনকি এগুলি সংরক্ষণ করে ও রাখা যাবেনা। ২০০৬ সালের খাদ্য সুরক্ষা আইনের অধীনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জনসাধারণের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালেও একই রকম ভাবে গুটখা, পান মশলাসহ একাধিক তামাকজাত দ্রব্য নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
এর আগে ২০১৩ সালে একবার এক বছরের জন্যে পশ্চিমবঙ্গে খৈনি, গুটকা, পানমশলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। দুবার এক বছরের জন্য এই দ্রবাদি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে প্রতিবারই সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাবে আর আইন তোয়াক্কা না করার জন্য বাজারে এগুলি বিক্রি হয়েছে। এখন এটাই দেখার এবারের এই আইন কার্যকর হয় কিনা।