নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে সারা দেশ জুড়েই চলছে অশান্তি।এরই আঁচ দেখা গেল পশ্চিমবঙ্গেও। শনিবার সকাল থেকে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ বিভিন্ন এলাকা। জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে গাড়ি। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে গিয়ে আক্রান্ত স্বয়ং পুলিশ। ব্যহত হচ্ছে সাধারণ জনজীবন।
দুপুর ২ টোয় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। বিক্ষোভকারীরা ১৫টি সরকারি ও বেসরকারি বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ।বন্ধ রয়েছে যান চলাচল।
দুপুর ১.৩০ টায় নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা স্টেশন।আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় স্টেশনে।ঘটনাস্থলে দমকল পৌঁছলে আক্রমণ করা হয় কর্মীদেরও।
দুপুর ১২. ৫০ এ সাঁতরাগাছি বাসস্ট্যান্ডে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা বাস জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। দমকল বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করে বিক্ষোভকারীরা।
বেলা ১২.৩০ টায় সাঁকরাইল স্টেশনের রেল কেবিন ও টিকিট কাউন্টারে ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে স্টেশন চত্বর।আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে দেন যাত্রীরা।
বেলা ১২.০০ টায় বিভিন্ন স্টেশনে বিক্ষোভের জনহ ব্যহত হয় যান চলাচল। বিক্ষোভের জেরে বাতিল হয় হাওড়া-এর্নাকুলাম অন্ত্যোদয় এক্সপ্রেস, হাওড়া-দিঘা এসি এক্সপ্রেস, হাওড়া পুণে দুরন্ত এক্সপ্রেস, হাওড়া তিরুপতি এক্সপ্রেস, হাওড়া মুম্বই গীতাঞ্জলী এক্সপ্রেস, হাওড়া-দিঘা কাণ্ডারী এক্সপ্রেস।
সকাল ১০.৩০ গরফার কাছে কয়েকটি সংখ্যালঘু সংগঠনের সদস্যরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে শুরু করেন।নতুন আইনের বিরোধিতায় জ্বালানো হয় টায়ার।কোনা এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হতে থাকে বিক্ষোভ।
সকাল ৮: ০০ টায় বসিরহাটের হাড়োয়া, মুর্শিদাবাদের পোড়াডাঙা, জিয়াগঞ্জ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসুলডাঙা-সহ একাধিক স্টেশনে শুরু হয় বিক্ষোভ।স্টেশনে আটকে পড়ে একাধিক ট্রেন। ভোগান্তির শিকার সমস্ত যাত্রীরা।