রবিবার ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত এক তরুণ কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌছালে তাকে থার্মাল চেকিং করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু মায়ের প্রভাব খাটিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ে সে। তা স্বত্ত্বেও বিমানবন্দরের কর্মীরা তাকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু পাত্তা দেয়নি সে। গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছে পরদিন মায়ের সঙ্গে শপিং-এও যায় সে। শোনা যাচ্ছে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতেও গিয়েছিল ওই তরুণ।
শরীরের অসুস্থতা নিয়ে বাঙ্গুর হাসপাতালে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে আবারও বেলেঘাটা আইডিতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। প্রথম বারের মতোই দ্বিতীয় বারের নির্দেশকেও অমান্য করে সে। এরপর যতক্ষণে তাঁর দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে অনেক মানুষের সংস্পর্শে এসেছে সে। যার ফলে কলকাতা শহর সহ সারা রাজ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বড় বিপদের আশঙ্কা করছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরও। উষ্মা প্রকাশ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowরাজ্য জুড়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে মাঠে নেমেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি করোনা সংক্রমণের সন্দেহ হলেই হাসপাতালে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ছুটি দেওয়া হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্র। সেখানে নবান্নের একজন গুরুত্বপূর্ণ আমলা কি করে ওই করোনা আক্রান্ত তরুণের মা চিকিৎসকদের পরামর্শকে তোয়াক্কা না করে সকলের বিপদ বাড়ালেন, তা ভেবে পাচ্ছেন না রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। আবার ওই আমলার স্বামী যখন নিজে চিকিৎসক।
সরকারি নির্দেশ অমান্য করে করোনা আক্রান্ত ছেলেকে চারিদিকে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ করে দেওয়ায় ওই আমলা মায়ের প্রতি ক্ষুব্ধ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। কারণ, ছেলের থেকে কোন কারণে ওই সংক্রমণ যদি মায়ের শরীরে আসে তাহলে বিপদে পড়বে রাজ্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর। ছেলে বাড়িতে ফেরার পরও ওই আমলা সোমবার ও মঙ্গলবার নবান্নে গিয়েছিল বলে জানা গেছে। তাই ওই আমলা ও তার ছেলের সংস্পর্শে আসা প্রত্যেক ব্যক্তিকেই নিজের ঘরে নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে।