চিনের তৈরি প্রতিষেধকের চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা এবার বাংলাদেশেই
চিনের তৈরি সিনোভ্যাক রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের তৈরি একটি ভ্যাকসিনের তৃতীয় ও চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা হবে এবার বাংলাদেশে।
করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই গোটা বিশ্ব জুড়ে মানুষ ক্রমেই গৃহবন্দী হয়ে পড়ে। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র করোনার জীবাণুকে ধ্বংস করতে মরিয়া গোট বিশ্বের বৈজ্ঞানিক মহল। আর তাই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিষেধক তৈরির কাজ। আর এই কাজে অনেক দেশ ক্রমেই এগিয়ে গিয়েছে। চিনের তৈরি সিনোভ্যাক রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের তৈরি একটি ভ্যাকসিনের তৃতীয় ও চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা হবে এবার বাংলাদেশে।
আর এই বিষয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল ছাড়পত্র দিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্রকে। সিনোভ্যাক ভ্যাকসিনটির দ্বিতীয় পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল শেষ হয়েছে। চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষাটি হবে বাংলাদেশে। গতকাল রবিবার বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল আইসিডিডিআর ভ্যাকসিনটির পরীক্ষার ব্যাপারে ছাড়পত্র দেয়। সংস্থার প্রোটোকল অনুযায়ী, ইতিমধ্যে ওই ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল হয়েছে বাংলাদেশের ৭টি হাসপাতালের ২,১০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর।
চিনা সংস্থাটি জানিয়েছে, ভ্যাকসিনটি প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে যে হিউম্যান ট্রায়াল হয়েছে তাতে ৭৪৩ জন স্বেচ্ছাসেবকের দেহে সফলভাবে কাজ করেছে। আগামী মাস থেকে ভ্যাকসিনটির প্রয়োগ বাংলাদেশে শুরু হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। তৃতীয় ও চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষায় ভ্যাকসিনটি সফল হলে তার উৎপাদন শুরু হবে। এবং চিনের তৈরি করোনার প্রতিষেধকটি পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বাংলাদেশকে।