নয়াদিল্লি: ভ্যাকসিনের আগমনেও কমেনি উদ্বেগ। ব্রিটেনের নতুন করোনা স্ট্রেন নিয়ে এখন নাজেহাল গোটা বিশ্ব। যেই কারণে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আসার কথা থাকলেও তা বাতিল করতে হল। শোনা যাচ্ছে এবছর দিল্লির ২৬ জানুয়ারির সামগ্রিক অনুষ্ঠানের অনেকটাই কাটছাঁট করা হচ্ছে। অন্যদিকে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজেও থাকছে একাধিক বিধিনিষেধ। তবে এসবের মধ্যে নতুন খবর, দেশের ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে এবার অংশগ্রহণ করতে চলেছে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর এক বিশেষ দল।
এবছর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী। এই উপলক্ষে ভারতের হাইকমিশন প্রথমবার প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। সেই উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তারা ভারতের উদ্দেশে রওয়ানা দেন বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে সশস্ত্র বাহিনীর একটি বিশেষ দল। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ১২২ সদস্যের এই কন্টিনজেন্টের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কর্নেল মোহাম্মদ মোহতাশিম হায়দার চৌধুরী।
দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অংশ নেবে বাংলাদেশ সেনার এই বিশেষ দল। যাতে থাকবে মার্চিং ব্যান্ডও। মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর বাংলাদেশের এই বিশেষ সেনা দল আগামী ৩০ জানুয়ারি দেশে রওনা দেবে। এই পদক্ষেপের ফলে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয় আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই আশাবাদী ভারত ও বাংলাদেশ দুই তরফের সরকারই।
তবে এবার করোনাকালে কুচকাওয়াজের যাত্রাপথের দৈর্ঘ্য অনেকটা কমিয়ে ফেলা হয়েছে। এবার ৮.২ কিলোমিটারের বদলে কুচকাওয়াজ হবে মাত্র ৩.৩ কিলোমিচার পথে। জানা যাচ্ছে মার্চিং কন্টিনজেন্ট গুলিতে ১৪৪ জন সেনার বদলে থাকবেন ৯৬ জন। এমনকী রাজপথে দর্শকের সংখ্যাও অনেকটাই কমিয়ে ফেলা হবে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর। দর্শক সংখ্যা ১ লক্ষ ১৫ হাজার থেকে কমিয়ে ২৫ হাজার করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। একইসাথে নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে সেনা-জওয়ান প্রত্যাকেই যাতে সঠিক ভাবে করোনা বিধি মেনে চলেন তার জন্য থাকবে বিশেষ নজরদারি। শোনা যাচ্ছে ভারতের ইতিহাসে প্রথমবারের জন্য এবার লাল্লকেল্লায় শেষ হবে না এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ। বদলে বিজয় চক থেকে কুচকাওয়াজ শুরু হয়ে ন্যাশানাল স্টেডিয়ামে শেষ হবে।