বর্তমানে অনলাইন লেনদেন বৃদ্ধি পেলেও, অনেকেই চেক ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। বড় লেনদেনের জন্য চেক ব্যবহার করা হয়। তবে চেক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি, কারণ সামান্য ভুলের কারণেও চেক বাউন্স হতে পারে। আসলে যখন কোনো চেক জমা দেওয়ার পর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকার কারণে তা বাতিল করে দেওয়া হয়, তখন তাকে চেক বাউন্স বলে। বিভিন্ন কারণে এই চেক বাউন্স হতে পারে।
অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকা, স্বাক্ষরের অমিল, লেখার ভুল, অ্যাকাউন্ট নম্বর ভুল, ওভাররাইট করা, চেকের মেয়াদ শেষ হওয়া, অ্যাকাউন্ট বন্ধ থাকা, কোম্পানির সিল না থাকা বা ওভারড্রাফ্ট সীমা অতিক্রম করে গেলে চেক বাউন্স হতে পারে। চেক বাউন্স একটি গুরুতর বিষয়। সাবধানতা অবলম্বন করে এবং নিয়ম মেনে চলে আমরা এই ঝুঁকি এড়াতে পারি। আর আপনার তরফ থেকে চেক বাউন্স হলে আপনাকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
প্রথমত জরিমানা করে ব্যাংক। একটি চেক বাউন্সের জন্য বিভিন্ন ব্যাঙ্ক বিভিন্ন জরিমানা ধার্য করে। এই চার্জগুলি বিভিন্ন ব্যাঙ্কের জন্য আলাদা। এই জরিমানা ১৫০ টাকা থেকে ৭৫০ বা ৮০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। চেক বাউন্স করার এক মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করলে ‘নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্ট 1881’-এর 138 ধারায় মামলা করা যেতে পারে। এতে ঋণগ্রহীতাকে ২ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে বা চেকের দ্বিগুণ জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে। আমাদের দেশে চেক বাউন্সকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।