দেশে ডিজিটালাইজেশন বাড়ার পাশাপাশি সাইবার অপরাধের ঘটনাও দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা যেমন সাইবার জালিয়াতি, চেক জালিয়াতি ইত্যাদি থেকে নিরাপদ থাকার জন্য সতর্ক করছে। দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকেও তাদের গ্রাহকদের সতর্ক করা হচ্ছে। ব্যাঙ্ক তার গ্রাহকদের চেক জালিয়াতির কথা জানিয়েছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই ব্যাঙ্কের সামনে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে যখন চেক বইয়ের মাধ্যমে আর্থিক জালিয়াতির চেষ্টা চালিয়েছে। এ অবস্থায় চেক জমা দেওয়ার সময় গ্রাহকদের বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। সম্প্রতি চেক বই জালিয়াতি সম্পর্কিত একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে তেমনই কিছু অভিযোগ।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, নতুন চেক বইয়ের আবেদন করে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন দুর্গাপুরের এক মহিলা। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মহিলা নাকি নতুন চেক বইয়ের জন্য আবেদন করেছিলেন। চেক বই তিনি হাতে পাননি। অথচ চেক ব্যবহার করে মহিলার অ্যাকাউন্ট থেকে নাকি দেড় লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে!
একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট দুর্গাপুরের বাসিন্দা স্বাগতা তিওয়ারির। তিনি এটিএম কার্ড ব্যবহার করেন না। যার ফলে চেক বইয়ের ওপর ভরসা ভরসা করতে হয় তাঁকে। স্বাগতা তিওয়ারি গত ১২ অগাস্ট নতুন চেক বইয়ের জন্য আবেদন করেছিলেন। তিওয়ারি বাড়িতে রিসিভ করার মতো কেউ না থাকায় চেক বইটি আনডেলিভার হয়। এরপর স্বাগত দেবীর কাছে আসে ফোন। তখনই তাঁর মাথায় কার্যত আকাশ ভেঙে পড়ে। তাঁর খাতা থেকে নাকি দেড় লক্ষ টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে। নতুন চেক বই ব্যবহার করে টাকা তোলা হয়েছে বলে জানতে পারেন স্বাগতা।
পরে ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জানা যায়, এক ব্যক্তি সেই চেক বুক ব্যবহার করে, সই নকল করে টাকা তুলছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম কমলেশ মারান্ডি। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।