ইতিমধ্যেই হাথরস ধর্ষণ কান্ড নিয়ে তোলপাড় হয়েছে সারা ভারত। বৃহস্পতিবার নির্যাতিতা তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে কার্যত গ্রেফতার হয়েছেন রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। আর এবার হাথরসের পথে তৃণমূলের সাংসদের দলের প্রতিনিধিরা। তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন। দফায় দফায় সেখানে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। অন্যদিকে আজ সকালেই হাথরসে আটকানো হয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে।
সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়ানকে হেনস্থা করা হয়েছে। এমনকি নির্যাতিতার গ্রামে সংবাদমাধ্যমকেও কার্যত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ডেরেক ও’ব্রায়েন ও কাকলি ঘোষ দস্তিদার সহ তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের কার্যত হাথরসে ঢোকার মুখে বাধা দেওয়া হয়। বলা হয় সেখানে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই কেউ প্রবেশাধিকার পাবে না। এই একই কথা বলা হয়েছিল গতকাল রাহুল-প্রিয়াঙ্কাকেও।
কিন্তু তাঁরা কোনওকিছুতে কর্ণপাত না করায় অবশেষে তাঁদেরকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তর প্রদেশের হাতরসে ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। ঘটনার সপ্তাহ দুই পর মঙ্গলবার ভোরে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে যুবতীর মৃত্যু হয়৷ এর পরেই সারা ভারত জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়৷ নির্যাতিতার মৃত্যুর পরিবারের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই এ দিন ভোরে ওই যুবতীর দেহ সৎকার করে দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ৷
অন্য দিকে হাথরসের দলিত তরুণীকে মধ্যরাতে দাহ করার ঘটনায় কাঠগড়ায় উঠেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এর নাম। এরপরে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন একাধিক বিরোধি দলের নেতা। কিন্তু সব মিলিয়ে যত দিন যাচ্ছে পরিস্থিতি ততোই জটিল হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।