রামকৃষ্ণ এবং স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দু ধর্মের সাথে বিজেপির আদর্শ কোনও দিক থেকে মেলেনা বলে এইদিন দাবি করলেন দমদমের বিধায়ক ব্রাত্য বসু(Bratya Basu)। বাম জামানাকে নিশানা করে এইদিন শাসক শিবিরের নেতা বলেন,ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পর বাংলায় চলেছে কেবলই সভিয়েত সাম্রাজ্যবাদ। বাংলার মনীষী বঙ্গ দেশ গঠনের ভূমিকা থাকা ব্যক্তদের ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন নেতা। তার মতে বাঙালির গরিমা, চিন্তা, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং কৃষ্টিকে আনর্জাতিকতার সাথে মিলিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি একদিনের বাংলা সফরে এসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সেই দিন বাংলা সফরে এসে নাড্ডা বর্ধমানে করেছিলেন বিশালাকৃতির এক রোড শো। সেই রড শো থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দাবি করেন,”স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে অনুসরণ করে চলি আমরা। অনুসরণ করে চলে আমাদের দল। বিজেপিই বাংলার সংস্কৃতির ধারক।” এইদিন বিজেপির সাথে রামকৃষ্ণের আদর্শ, বিবেকানন্দের আদর্শ মেলেনা, তা বোঝানোরই চেষ্টা করতে দেখা গেল তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসুকে। তার বক্তব্য,”রামকৃষ্ণ এবং বিবেকানন্দকে ব্যবহার করছে বিজেপি। রামকৃষ্ণের মূল নীতি ছিল যত মত তত পথ। হিন্দু ধর্মের পুন্রুজ্জীবন ঘটিয়েছিলেন তিনি। চৈতন্যদেবের জন্ম স্থান চেনেনা ঐ দল। চৈতন্যদেব, রবীন্দ্র নাথ এবং নজরুলকে নিয়েও ভুল কথা বলছেন তারা।”
স্বামীজিকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের ফিরিস্তিও দেন ব্রাত্য বসু। তার কথায়,”বিবেকানন্দের নামে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের নামকরণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। স্বামী বিবেকানন্দের নামে এনেছেন স্বনির্ভর প্রকল্প। সিস্টার নিবেদিতা ও বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয় করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঙালির গরিমা, চিন্তা, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে আন্তর্জাতিকতার সঙ্গে মিলিয়েছেন। কেন্দ্র সরকার বিবেকানন্দের জন্য কী করেছে, কেউ আমায় বলুন?”। এখানেই থামেননি শাসক শিবিরের নেতা। তার বক্তব্য, আধুনিক সমাজ, আধুনিক বাঙালি জীবন আন্তর্জাতিক স্তরে বারবার বিবেকানন্দ এবং রামকৃষ্ণের নাম উঠে এসেছে, তার ক্রেডিট যায় কেবল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।