কিছুদিন আগেই তিনি ফিরেছিলেন আমেরিকা থেকে, তারপর বহাল তবিয়তে ঘুরেছেন, করেছেন দুটো অপারেশনও। স্বাস্থ্য দপ্তরের দেওয়া সমস্ত নিয়ম ভেঙেছেন। ঘটনাটি বসিরহাটের, বসিরহাটের এক চিকিৎসকের কান্ড এটি। জানা যাচ্ছে সদ্য আমেরিকা থেকে ফিরেছিলেন ওই চিকিৎসক। স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী বিদেশ থেকে ফিরলে ১৪ দিনের হোম কোয়ারিন্টনে থাকার কথা ওই চিকিৎসকের। কিন্তু বিদেশ যাওয়ার সমস্ত তথ্য গোপন করেন ওই চিকিৎসক। হোম কোয়ারিন্টনে থাকা দূরে থাক তিনি বহাল তবিয়তেই ঘুরে বেড়িয়েছেন বসিরহাট জুড়ে। এমনকি নিজের নার্সিংহোমে দুটো অপারেশনও করেছেন।
দায়িত্বজ্ঞানহীন এই কাজের জন্য তাঁর নার্সিংহোম সিল করা হয় প্রশাসনের তরফে। জানা যাচ্ছে প্রথমে তাকে একাধিকবার জিজ্ঞেস করা হলেও তিনি কোনো তথ্য দেননি। এরপর গতকাল তাঁর বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়, সেখানেই তিনি সব স্বীকার করেন। তারপর তাঁর হাসপাতাল সিল করা হয় এবং তাকে হোম কোয়ারিন্টনে রাখা হয়। তিনি যাতে বাড়িতেই থাকেন এবং বাড়ির বাইরে বেরোতে না পারেন সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। ওই চিকিৎসকের লালারসও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : করোনার জেরে স্থগিত রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা
বসিরহাটের বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা ওনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েছিলাম, সেখানে উনি কোনো কথা স্বীকার করেননি। পরে তিনি আমেরিকা থেকে ফেরার কথা স্বীকার করেন। এখন আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সমস্ত বিদেশ ফেরত নাগরিকদের উদ্যেশ্যে বলেছিলেন, ‘নিজের দায়িত্ববান হোন। বিদেশ থেকে ফিরলে আগে পরীক্ষা করান। তারপর ১৪ দিনের হোম কোয়ারিন্টনে থাকুন।’ কিন্তু তার সেই নির্দেশ যে সাধারণ মানুষ শুনছেন না, নিজেদের মতো দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করছেন তা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।