পার্ক স্ট্রিটের আদি নাম মাদার টেরিজার সরণি। কলকাতার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হলো পার্কস্ট্রিট। কলকাতার সুপ্রিমকোর্টের চিফ জাস্টিস স্যার এলিজা ইম্ফের ডিয়ার পার্ক সহ বাগান বাড়ির জন্য রাস্তাটি পার্কস্ট্রিট নামে পরিচিত হয়। পরবর্তীকালে কলকাতা পৌরসভা মাদার টেরিজার নামানুসারে রাস্তাটির নামকরণ করেন মাদার টেরিজা সরণি।
এখানে রয়েছে বারিস্তার মতো কয়েকটি কফি শপ। কলকাতার নৈশ জীবন পার্ক স্ট্রিটের নৈশক্লাব ও কফি সবগুলো ঘিরেই উদযাপিত হয়। তাছাড়া রয়েছে এশিয়াটিক সোসাইটি, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ। জহরলাল নেহেরুর রোড, পাকসার্কাস, মল্লিক বাজার অঞ্চলের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত বহুকাল ধরে কলকাতার অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান হিসেবে পরিচিত হয়েছে।
আরও পড়ুন : বড়দিনে হালকা বৃষ্টি, তারপর জমিয়ে শীত
বড়দিনের আগে পার্কস্ট্রিট সেজে ওঠে এক নতুন কায়দায়। এমনিতেও পার্কস্ট্রিট কলকাতার বিদেশি জায়গা বললেই ভাল হয়। এখানকার রাস্তাঘাট দু’ধারে সাজ-সজ্জা এবং মানুষের আদব-কায়দা অনেকটাই বিদেশি গোছের। এখানে অনেক প্রবাসী খ্রিস্টানরাও থাকেন, আর সেজন্যই বড়দিনটা একেবারে আলোয় ঝলমল করে। দোকানে দোকানে বিক্রি হয় ছোট্ট পুতুলের স্যান্টাক্লজ। এছাড়াও থাকে সবুজসবুজ ক্রিসমাস ট্রি।
দু’ধারে কেক বিক্রেতারা তাদের বানানো কেকের ডালি নিয়ে বসেন। জমে ওঠে দুধারের হোটেল-রেস্তোরাঁ। সারারাত ধরে চলতে থাকে ক্রিসমাস সেলিব্রেশন পার্টি। ঠান্ডার মধ্যে মানুষজন নেমে পড়েন মাথায় লাল সান্টার টুপি পড়ে। যাকে বলে একেবারে সাজো সাজো রব। এখানে গেলে আমাদের বলতেই হয় ‘বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য’। সর্বধর্ম সমন্বয়ের মিলন ঘটে এই পার্কস্ট্রিটে।