নয়াদিল্লি: এবার Digital হচ্ছে Voter ID কার্ড! এখন থেকে বাড়িতে বসেই শুধুমাত্র মোবাইল নম্বর দিয়ে Voter ID কার্ডের ই-সংস্করণ ডাউনলোড করা যাবে। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) উদ্যোগে চালু হচ্ছে Voter ID কার্ডের ই-সংস্করণ ডাউনলোড করার সুবিধা। এর ফলে Voter ID কার্ড হারিয়ে গেলেও কোনও রকম সমস্যায় পড়তে হবে না সাধারণ মানুষকে।
জাতীয় ভোটার দিবস (National Voter Day) উপলক্ষে দেশজুড়ে চালু হল E-EPIC পরিষেবা বা Digital Voter ID কার্ড। E-EPIC বা Digital Voter ID কার্ডের ডাউনলোড করা ই-সংস্করণে ভোটারের যাবতীয় তথ্যই থাকবে যার ভিত্তিতে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন ভোটাররা।
E-EPIC বা Digital Voter ID কার্ডের ক্ষেত্রে ২টি QR কোড থাকবে যার মধ্যে একটি QR কোডে ভোটারের নাম, ঠাকানা-সহ নানা তথ্য থাকবে আর অন্যটিতে থাকবে ওই ভোটারের বুথ নম্বর, পার্ট নম্বর, ভোটার সংখ্যা।
E-EPIC বা Digital Voter ID কার্ড ডাউনলোড করার জন্য নির্বাচন কমিশন (Election Commission) দুটি পর্যায়ে ভেঙে দিয়েছে। প্রথমে ২৫ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি নতুন ভোটাররা Voter ID কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। অর্থাৎ, এই পর্যায়েই রাজ্যের প্রায় ২০ লক্ষ ৪৫ হাজার নতুন ভোটার Digital Voter ID কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নিজেদের E-EPIC বা Digital Voter ID কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন দেশ ও রাজ্যের পুরনো ভোটাররা। তবে যাঁদের Voter ID কার্ডের সঙ্গে বৈধ ফোন নম্বর লিঙ্ক করা আছে, শুধু তাঁরাই E-EPIC ডাউনলোড করতে পারবেন। জেনে নিন তার জন্য কী করতে হবে…
প্রথমে ‘National Voter Service Portal’-এর ওয়েবসাইটে https://www.nvsp.in/ ক্লিক করুন। এ বার ‘লগ-ইন’ করার পর নতুন ব্যবহারকারীরা ‘Register as a new user’ অপশনে ক্লিক করুন।
এখানে ‘মোবাইল নম্বর’ সেকশনে নিজের বৈধ মোবাইল নম্বরটি এন্টার করুন। এ বার দেখে দেখে ‘ক্যাপচা কোড’টি টাইপ নির্ভুল ভাবে টাইপ করুন। তার পর ‘সেন্ড ওটিপি’ অপশনে ক্লিক করুন। এর পরই মোবাইলে ওটিপি বা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড চলে আসবে যা দিয়ে পরবর্তী কাজগুলি করতে হবে।
এ বার ‘I have EPIC number’-এ ক্লিক করুন। শূন্যস্থানে নিজের ভোটার কার্ডে উল্লেখিত ‘EPIC number’টি দিতে হবে। এ বার আপনার একটি ‘ইমেল আইডি’ দিতে হবে, সেখানে আপনার Voter ID কার্ডের ‘আপডেট’ সম্পর্কিত তথ্য আসবে। পরবর্তীকালে আপডেটের জন্য একটি ‘পাসওয়ার্ড’ তৈরি করতে হবে। নির্দিষ্ট তথ্য যথাযথ ভাবে দেওয়ার পর ‘রেজিস্টার’ অপশনে ক্লিক করলেই আপনার মোবাইল নম্বর লিঙ্ক হয়ে যাবে Voter ID কার্ডের সঙ্গে।
নির্বাচন কমিশন (Election Commission) জানিয়েছে, E-EPIC বা Digital Voter ID কার্ড চালু হলেও পাশাপাশি পুরনো কার্ডও চালু থাকছে। অর্থাৎ, দেশের সমস্ত ভোটার সাধারণ Voter ID কার্ড এবং E-EPIC— দুটোর যে কোনও একটি সুবিধা মতো ব্যবহার করতে পারবেন।