আদালতের রায় ঘোষণার আগেই অযোধ্যায় জমায়েতের ঘোষনায় আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে জেলা প্রশাসনের মধ্যে। আগামী ১২ নভেম্বর সুপ্রিমকোর্টের স্পেশাল বেঞ্চে রায় ঘোষণা হবে বিতর্কিত অযোধ্যা মামলার। সেদিনই জানা যাবে, অযোধ্যা আসলে কার? হিন্দুদের রামমন্দির নাকি মুসলমানদের বাবরি মসজিদ কার দখলে থাকবে অযোধ্যার মাটি, সেদিনই ফয়সালা হবে কয়েক দশকের এই বিতর্কের। তার আগেই বিশাল জমায়েতের আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে অযোধ্যা জেলা প্রশাসনের।
আগামী কার্তিক পূর্ণিমায় প্রায় ১০ লক্ষ হিন্দু পূণ্যার্থীর জমায়েতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই উপলক্ষ্যে আঁটোসাঁটো করা হয়েছে অযোধ্যায়। জেলা জুড়ে স্যোশাল মিডিয়ার পোস্টে নজর রাখছে প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত হতে এমন পোস্ট নজরে এলে গ্রেপ্তারের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তবে, কট্টর হিন্দুত্ববাদী ও মুসলিম সামাজিক সংগঠনগুলো সাধারণ মানুষের কাছে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার আর্জি জানিয়েছেন।
ভক্তদের আদালতের রায় মেনে নেওয়ার কথা বলেছেন তাঁরা। সংখ্যালঘু বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মোক্তার আব্বাস নকভি বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক সংগঠনের নেতাদের ডেকে এক বৈঠকে এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় সদর্থক ভূমিকা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন।