শ্রেয়া চ্যাটার্জি – নাম বেগুন কিন্তু তাতে রয়েছে অজস্র গুণ। বেগুন ভাজা, বেগুন পোড়ার সাথে সাথে বেগুনের ভর্তা বেশ জনপ্রিয় বাঙালি খাবার। তবে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় বেগুন ভর্তা খাওয়া হয়। তবে জায়গার এবং অঞ্চলভেদে তৈরির পদ্ধতি খানিকটা আলাদা থাকে। বেগুন-ভর্তা-রেসিপি জানার আগে একটু জেনে নেওয়া দরকার আপনি সবজিটি কেন খাবেন? কি আছে এর মধ্যে?
বেগুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। যা নখের ভঙ্গুরতা রোধ করে। একথায়, শুষ্ক ত্বকের জন্য বেগুন খুবই উপকারী। ঠোঁটের কোণে ঘা সারাতে, ঋতুস্রাবের সমস্যা সমাধানে, হজম শক্তি বাড়াতে, চুল, নখ এবং ত্বককে মজবুত করতে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে, মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটাতে এমনকি ক্যান্সার প্রতিহত করতে এই সবজিটির জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত বেগুন খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়। বেগুনে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে, যা রক্ত বাড়াতে সাহায্য করে।
বেগুন ভর্তার প্রয়োজনীয় উপকরণঃ বেগুন, সরষের তেল, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচালঙ্কা, ধনেপাতা, টমেটো, নুন স্বাদ মত।
প্রস্তুত প্রণালীঃ বেগুন কে পুড়িয়ে নিয়ে বা হাল্কা ভেজে নিয়ে বেগুন ভর্তা বানানো যায়। আবার কেউ কেউ বেগুন একটু হালকা সিদ্ধ করে নেন। কড়াইয়ে তেল দিয়ে তেল গরম হলে সেখানে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে একটু ভাজা ভাজা হলে টমেটো কুচি দিতে হবে, তারপর তাতে বেগুনের টুকরো গুলি দিয়ে দিতে হবে। একটু নাড়াচাড়া করে নিয়ে কাঁচা লঙ্কা কুচি, ধনেপাতা কুচি দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। একেবারে শুকনো শুকনো হয়ে গেলে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন বেগুনের ভর্তা। ভোজপুরী ভাষী অঞ্চলে এ ধরনের উত্তর প্রদেশের পূর্ব অংশে এবং পশ্চিমে বিহারে ‘বেইগান কা চোখা’ নামে পরিচিত।