শীতকাল মানেই রাজ্যের আনাচে-কানাচে মেলা উৎসব সমারোহ দেখা যায়। কিন্তু চলতি বছরে করোনা প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে সংক্রমণ ঠেকাতে এখনও অব্দি কোথাও মেলা আয়োজন করা হয়নি। এতদিন অব্দি লকডাউন রুল অনুযায়ী মেলা বা জমায়েত করার অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। কিন্তু গোটা বছর মেলা বন্ধ থাকায় স্থানীয় হস্তশিল্প ও লোকশিল্পীদের উপার্জনের উপায় একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের এবার কাজে না পেলে পেট চালানো দায় হয়ে যাচ্ছে। সেইকথা ভেবে এবার রাজ্য সরকার পাশে দাঁড়ালো স্থানীয় হস্তশিল্প ও লোকশিল্পীদের।
রাজ্যে আনলক প্রক্রিয়া চালু হওয়ার পর থেকেই আস্তে আস্তে জনজীবন সাধারণ স্রোতে ফেরার চেষ্টা করছে। ক্রমে রাজ্যের অফিস কাছারি ও তারপর গত ১১ নভেম্বর থেকে রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে। এরপর রাজ্য সরকার স্থানীয় হস্তশিল্পী ও লোকশিল্পীদের করুণ পরিণতির কথা জানতে পেরেছে। তাদের কিছু একটা ব্যবস্থা করার জন্য এই করোনা পরিস্থিতিতে কি করে মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যায় তা নিয়ে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক সারলেন।
বৈঠক শেষে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যে এবার থেকে কোভিড প্রটোকল মেনে মেলা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে। যদি কোন বদ্ধ জায়গায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় তাহলে অর্ধেক সংখ্যক দর্শক নিয়ে অনুষ্ঠান করতে হবে। সর্বোচ্চ ২০০ জন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবে। কিন্তু কোনো খোলা জায়গায় সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করলে সর্বোচ্চ সংখ্যার কোনো বিধিনিষেধ নেই। কিন্তু প্রত্যেক দর্শকের মাস্ক স্যানিটাইজার ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। মেলা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দর্শকদের সোশ্যাল ডিসটেন্স বজায় রাখতেই হবে।
রাজ্যে মেলা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পর্কিত গাইডলাইন ইতিমধ্যেই জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারকে জানানো হয়েছে। এদিনকার বৈঠকে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন লোকশিল্পী ও হস্তশিল্পীদের পাশে রাজ্য সরকার আছে। এতদিন ধরে রাজ্যজুড়ে মেলা এবং সংস্কৃতি অনুষ্ঠান বন্ধ হলেও এবার হয়তো চালু হবে সব মেলা।