রাজধানীতে গিয়ে যৌন হেনস্থার শিকার বাংলার মেয়েরা। সম্প্রতি খবরে আসা একটি ঘটনায় আমরা দেখছি রাজধানী দিল্লিতে গিয়ে ১৮ জুলাই রাতে যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে বাংলার মেয়েদের। সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের একজন তরুণীর উদ্দেশ্যে বেশ কিছু যুবক অত্যন্ত অশ্লীল মন্তব্য করছে এবং তাদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করছে। প্রকারান্তরে তাদের যৌন হেনস্থা করার চেষ্টা করছে ওই যুবকেরা।
ইতিমধ্যেই ওই তরুণীরা ওই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। অন্যদিকে দিল্লির মহিলা কমিশনের তরফ থেকে পুলিশের উপরে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করার জন্য একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও খবর। তবে ঘটনাটি ঠিক কি ঘটেছে? ১৮ জুলাই তারিখে রাত্রিবেলা দক্ষিণ দিল্লিতে একটি একটা অ্যাপের জন্য অপেক্ষা করছিলেন ওই তরুণীরা। সেই সময় রাস্তায় একদল যুবক এসে তাদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অঙ্গ ভঙ্গি করতে থাকে এবং তাদের উত্যক্ত করতে থাকে।
প্রতিবাদে ওই তরুণীরা চিৎকার করে ওঠেন এবং পুরো ঘটনা মোবাইলে রেকর্ড করে নেন। পাশাপাশি ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করার হুমকি দেন তারা। তারপর ওই যুবকেরা ক্ষমা চেয়ে সেখান থেকে চলে যায়। তবে পরবর্তীতে ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট হয় এবং দেখা যায় তাদের মধ্যে একজন যুবক ওই তরুণীর উদ্দেশ্যে মন্তব্য করছেন, “তোর রেট কত?”। তবে ওই তরুণীর কিন্তু তৎক্ষণাৎ কোন রিপোর্ট দায়ের করেননি। জানা গিয়েছে তার পরে একটি ক্যাব ধরে তারা ডিফেন্স কলোনি এলাকায় নৈশ ভোজন সারতে যান। পরে ২১ তারিখ সফদর্যুং এনক্লেভ থানায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশের তরফ থেকে তদন্ত শুরু করে দেওয়া হয়েছে। দিল্লির মহিলা কমিশনের তরফ থেকে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে খবর। ভিডিওটি দেখে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা চলছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। তবে এই ঘটনায় সবথেকে বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে দিল্লি মহিলা কমিশন। তাদের তরফ থেকে দিল্লি পুলিশকে একটি চিঠি পাঠিয়ে এফআইআর এর কপি চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলেও খবর। অভিযোগ দায়ের হবার পরে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে মহিলা কমিশনের কাছে সমস্ত রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন মহিলা কমিশনের কর্তাধর্তারা। এদিকে এই ঘটনায় দিল্লি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন উঠেছে। অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নেতৃত্বাধীন দিল্লি পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। ওয়াকিবহাল মহলের অনেকেই বলছেন, এই ঘটনা দিল্লির মহিলাদের নিরাপত্তা চেহারাটা আবারো বেআব্রু করে দিল। রাজধানীতে যদি মেয়েরা সুরক্ষিত না থাকে তাহলে দেশের অন্যান্য প্রান্তে কি অবস্থা হবে? প্রশ্ন অনেকের।