ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের রিপোর্ট এখনো পর্যন্ত সামনে আসেনি। তবে শুধু যে কসবা কাণ্ডেই সমস্যা আছে তা কিন্তু না। বরং আরো বেশ কিছু জায়গায় এই ভ্যাকসিন নিয়ে সমস্যায় ফেঁসে আছে রাজ্য সরকার। এর মধ্যেই আছে সোনারপুরের ভ্যাকসিন কান্ড। আর এই ঘটনা ঘটার পরেই এবারে ভ্যাকসিনের ভায়াল বন্টনের ক্ষেত্রে আরো কড়াকড়ি নিয়ম জারি করল রাজ্য সরকার। সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী রাজ্যের সমস্ত মুখ্য আধিকারিক এর সঙ্গে একটি ভিডিও কনফারেন্স করে ভ্যাকসিনের বন্টন নিয়ে একটি বড় সিদ্ধান্ত নেন। তিনি জানিয়ে দেন, স্বাস্থ্য দপ্তরের হেফাজত থেকে কোন ভাবে টিকার ভায়াল যাতে উধাও না হয়ে যায় তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবনকে।
স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিকর্তা এদিন যে তিনটি নির্দেশ দিয়েছেন তার মধ্যে প্রথমটি হলো কোল্ড চেইন পয়েন্ট থেকে কয়টি ভায়াল প্রতিদিন টিকাকেন্দ্রে যাচ্ছে এবং দিনের শেষে সেই সমস্ত ভায়াল ফিরছে কিনা সব তালিকা এবং সমস্ত হিসাব নথিভূক্ত রাখতে হবে। দ্বিতীয়তঃ হলো, স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশ্বস্ত লোকেদের হাতে টিকা ভায়াল বন্টন করতে হবে।
তৃতীয়তঃ এবং সবথেকে উল্লেখযোগ্য নির্দেশ হলো, এবার থেকে আর ব্যক্তি উদ্যোগে কোন ক্যাম্প করা যাবে না। দুয়ারে টিকা কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকাকরণ করে দিয়ে আসব সেটাও আর সম্ভব নয়। টিকাকরনের জন্য আর কোনরকম ক্যাম্প করা যাবে না। স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানাচ্ছেন, ” বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকাকরনে আমার এবং আমাদের সমর্থন নেই। কেউ যদি তা করে তাহলে তা বেআইনি। ”
বর্তমানে রাজ্যের টিকাকরণ নিয়ে চতুর্দিকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। একদিকে যেমন কসবায় দেবাঞ্জন দেবের কান্ড, অন্যদিকে আবার সোনারপুরে ভুয়ো ভ্যাকসিন কান্ড। এই দুই কাণ্ডে প্রথম প্রশ্ন, টিকা এলো কোথা থেকে? যেহেতু দেবাঞ্জন কাণ্ডে আবার ফরেনসিক রিপোর্ট এখনো পর্যন্ত সামনে আসেনি, তাই এখনই কিন্তু বোঝা যাচ্ছে না এই টিকা কোথা থেকে আসছে বা কি হচ্ছে এই টিকা নিয়ে। তার মধ্যেই আবার রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বৈঠকে নতুন কিছু নিয়ম সামনে আনলেন। তাই এই পরিস্থিতিতে মনে করা হচ্ছে, বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।