বাঙালি সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গোৎসব শুরু অক্টোবর মাসের একদম শুরুর দিকেই। তবে উৎসুক বাঙালি মহালয়ার পরের দিন থেকেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন ঠাকুর দেখতে। এক কথায় বলা যেতে পারে দেবীপক্ষের সূচনা হতে না হতেই উৎসবের আবহে গা ভাসিয়েছে শহরবাসী। ইতিমধ্যে একাধিক পূজা মন্ডপ উদ্বোধন হয়ে গেছে। ফলে বাঙালিও পঞ্চমীর অপেক্ষা না করে এখন থেকেই পুজো পরিক্রমায় বেরিয়ে পড়েছেন। তবে বাঙালির এই খুশির আবহে জল ঢালতে পারে টাইফুন নোরু। আবহবিদদের মতে, অক্টোবর মাসের প্রথম দিন থেকেই বৃষ্টি নামতে পারে। ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরের বুকে একটি সাইক্লোনের দেখা মিলেছে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়ে দিয়েছে যে সপ্তমী এবং অষ্টমী অর্থাৎ ২ ও ৩ অক্টোবর মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে শহরতলিতে। এছাড়া নবমী এবং দশমীর দিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে বিক্ষিপ্তভাবে। তবে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়তে পারে টাইফুন নোরু এসে উপস্থিত হলে। আসলে এই টাইফুন বর্তমানে প্রশান্ত মহাসাগরে তৈরি হচ্ছে। এটি একটি ঘূর্ণিঝড় হিসাবে উত্তর-পূর্ব এবং পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে পৌঁছানোর আগে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড এবং মায়ানমার অতিক্রম করবে। এটি এখনো স্পষ্ট নয় যে এই টাইফুনের কারণ কি নিম্নচাপ আরো তীব্র হবে?
নিম্নচাপ তীব্র হলে এটি বাংলা এবং উড়িষ্যার উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে। ফলে উভয় ক্ষেত্রেই দক্ষিণবঙ্গ এবং কলকাতায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২-৫ অক্টোবরের মধ্যে শহর জলমগ্ন হতে পারে বিপুল বৃষ্টির কারণে। এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। তবে টাইফুনের কারণে নিম্নচাপ তীব্র না হলে বৃষ্টির পরিমাণ হয়তো কিছুটা কমবে। আপাতত ১ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যাপক ভারী বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই। দিনের তাপমাত্রা যেহেতু বেশি থাকবে এবং আদ্রতা থাকবে তাই কিছু জায়গায় বজ্রপাত হতে পারে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিরামহীনভাবে বৃষ্টি পড়বে।