বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি বৃদ্ধি পাবে রাজ্যে। বেলা বাড়লে গরম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। যদিও বিকেলে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বুধবার। নির্ধারিত সময় পয়লা জুন এ বছর বর্ষা ঢুকবে না কেরলে। এই মৌসুমে বর্ষা আসবে ৪ জুন। অর্থাৎ এ বছর বর্ষা দেরি করে ঢুকছে বলে জানিয়ে দিল মৌসম ভবন। শনিবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায়। এছাড়া উত্তরবঙ্গের আটটি জেলাতে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর সাথেই ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে হালকা ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে।।
শনিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে দক্ষিণবঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গে বেশিরভাগ জেলাতেই দিনের বেলায় গরম বাড়বে এবং থাকবে আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি। বিকেল বা সন্ধ্যের দিকে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের প্রত্যেকটি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে শনিবার পর্যন্ত। বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে দমকা ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে। বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকার কারণে সতর্কবার্তা দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। বজ বিদ্যুৎসহ বৃষ্টি এবং ঝড়ের সর্তকতা থাকার কারণে নিরাপদে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সকলকে। দামিনী অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিকরা।
বিহার থেকে উড়িষ্যা পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে। দক্ষিণ বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত্য তৈরি হয়েছে। আংশিক মেঘলা আকাশ দেখা যাবে কলকাতায়। সকাল থেকেই দিনভর গরম এবং আদ্রতা জনিত অস্বস্তি থাকতে চলেছে। বিকেল বা সন্ধ্যের দিকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে কলকাতায় সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ৬২ থেকে ৯০ শতাংশ। আগামী কয়েক দিন অসম ও মেঘলয়ে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি এবং ভারী বৃষ্টি হবে মনিপুর মিজোরাম ত্রিপুরা এবং উত্তর পূর্ব ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলিতে। এছাড়াও রাজস্থান পাঞ্জাব এবং হরিয়ানাতে ধুলি ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।