জিৎ মদনানি! ২০০০ সালে পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তীর সুপারহিট ‘সাথী’ ছবিতে বড় পর্দায় ডেবিউ করেছিলেন আজকের সুপারস্টার জিৎ। এবার ১৯ বছর পর এই জিৎের প্রযোজনায় পরিচালক হিসাবে ডেবিউ করেছেন রনাথ চক্রবর্তীর ছেলে হিন্দোল চক্রবর্তী। বড়পর্দা থেকে বেরিয়ে এবার ছোট ছবিতে জিৎ। জিৎের প্রযোজনা সংস্থা জিৎ’স ফিল্ম ওয়ার্কস এবং গ্রাসরুট এন্টারটেনমেন্ট দর্শকদের উপহার দিয়েছে প্রথম ছোট ছবি ‘হরে কৃষ্ণ’।
অভিনয়, প্রযোজনার পাশাপাশি জিৎের মুকুটে যুক্ত হল আরো এক নতুন পালক। ১১ মিনিটের সামান্য বেশি স্বল্পদৈর্ঘ্যের এই ছোট ছবি ‘হরে কৃষ্ণ’-র কাহিনিকার হিসেবে বেশ সুখ্যাতি পেয়েছে। আর সেই পরিচয় এক্কেবারে এনে দিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মান। প্রথমবার সিনেমার কাহিনিকার আর তাতেই ছক্কা হাঁকালেন অভিনেতা-প্রযোজক। কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মঞ্চে সেরা ভারতীয় ছবির শিরোপা নিয়ে এসেছে ‘হরে কৃষ্ণ’।
‘হরে কৃষ্ণ’র মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন শুভময় চট্টোপাধ্যায়। জিৎ এই শর্ট ফিল্মে নিজের পাড়ার কাহিনি তুলে ধরেছেন। একেবারে ছাপোষা এক বৃদ্ধ। পাড়ার ছেলারা যাঁকে ‘হরে কৃষ্ণ’ বলে তিতিবিরক্ত করে। তবে হঠাৎ-ই একদিন ওই বৃদ্ধর আর কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায় না। পাড়ার ছেলেরা খোঁজ নিতে যায়। তারপর, ওই বৃদ্ধের বাড়িতে গিয়ে কী দেখে তারা? সেই গল্পই বলেছে ‘হরে কৃষ্ণ’। সমাজের উদ্দেশে এক মানবিক বার্তা দিয়েছেন জিৎ। আর সিনেমার চিত্রনাট্যইএ সেরার শিরোপা নিয়েছে কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মঞ্চে। এই ছোট ছবিতে শুভময় চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও অভিনয় করেছেন রাজু মজুমদার, মন্টু মল্লিক, ফিরোদ আহমেদ, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, দেবাশিষ রায় প্রমুখ। সিনেম্যাটোগ্রাফির দায়িত্বে ছিলেন সুপ্রিয় দত্ত।
ছবি মুক্তির আগে জিৎ এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছিলেন, ‘‘অনেক সময় ছোট ছোট কাজ অনেক বড় বার্তা পৌঁছে দেয়। সেই জায়গা থেকেই এ বার ছোট ছবির মাধ্যমে বড় কথা বলার চেষ্টা করব।’’এক সাক্ষাৎকারে জিৎ জানিয়েছিলেন, প্রথম পরিকল্পনা ছিল পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি তৈরি করবেন জিৎ-হিন্দোল জুটিতে। কিন্তু মহামারীর কোপে তা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। অতঃপর স্বল্প দৈর্ঘ্যের সিনেমা বানিয়েছেন। আর প্রথমবার কাহিনিকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেই বাজিমাত করলেন জিৎ। আর প্রিয় অভিনেতার সাফল্যে উচ্ছ্বসিত অনুগামীরাও।