হাওড়া: দীপাবলি বা কালীপুজোর পর আজ, সোমবার ঘরে ঘরে ভাইফোঁটা উৎসব পালিত হচ্ছে। ভাই বা দাদাদের নিরাপদ জীবন এবং দীর্ঘায়ু কামনা করতে বোন বা দিদিরা যমের দুয়ারে কাঁটা দিয়ে থাকে। কাঁটা দিতে গেলে ভাই বা দাদার কপালে যে ফোঁটা দেওয়া হয়, সেই অনুষ্ঠানকে সাধারণত ভাতৃদ্বিতীয়া বা ভাইফোঁটা বলে। কোনও ঘরে আবার প্রতিপদে ফোঁটা হয়, আবার কোনও কোনও ঘরে উৎসব পালিত হয় দ্বিতীয়তে। তবে দুর্গাপুজো, কালীপুজো এবং দীপাবলীর মতোই এই অনুষ্ঠানও প্রত্যেকবারের থেকে এবারে অনেকটাই আলাদা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফোঁটা নেওয়া করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার কিছুটা কমেছে। এমনকি ভাইফোঁটা উৎসবকে আরও মোহময় করে তোলার জন্য যে মিষ্টির প্রচলন দেখা যায়, সেই মিষ্টিতেও করোনার ছোঁয়া লক্ষ্য করা গিয়েছে।
সাধারণত ভাইফোঁটাকেন্দ্রিক মিষ্টিতে ভাইফোঁটা লেখা বা ফোঁটা দেওয়ার মুহূর্তের ছবি ছাপ দেওয়া থাকে। কিন্তু এবারে ‘সুস্থ থাকুন’, বা ‘ভাল থাকুন’ এই কথাটাও মিষ্টিতে লেখা হচ্ছে। আর এই কথাটা একমাত্র লেখা হচ্ছে অতিমারি করোনার কথা মাথায় রেখে। ভাই বা দাদা যাতে এই রোগের শিকার না হয়, তার জন্যই মিষ্টিতে এমন লেখার ভাবনা ভেবেছে হাওড়া সালকিয়ার এক প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন প্রস্তুতকারক সংস্থা। এখানে তৈরি করা হযেছে করোনা সতর্কতামূলক মিষ্টি| মিষ্টিতেই প্রচার করা হচ্ছে সরকারি বা চিকিৎসকদের বার্তা ফুটে উঠবে ভাইফোঁটার মিষ্টিতে। কোথাও লেখা আছে ‘মাস্ক পরুন’, তো কোথাও আবার ‘ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন’। এমনকি কোথাও আবার লেখা আছে ‘সময় সময় হাত ধুয়ে ফেলুন, সুস্থ থাকুন’|
এই অভিনব ভাবনা প্রসঙ্গে মিষ্টির দোকানে কর্ণধার অসীম কুমার দাস বলেছেন, ‘করোনা আবহে সবাই যখন আমরা সুস্থ থাকার লড়াই করছি, তখন এই বার্তা সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতেই এটাই সব থেকে ভাল সময় বলে মনে করলাম এবং তার জন্যই এই বিশেষ মিষ্টি তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন সাইজ ও বিভিন্ন মূল্যে পাওয়া যাবে এই বিশেষ সন্দেশ।’ এই অভিনব ভাবনা থেকে তৈরি মিষ্টি পেয়ে খুশি হয়েছে ক্রেতারাও, এমনটা দাবি করেছেন মিষ্টির দোকানের কর্ণধার। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ভাইফোঁটা যাতে নির্বিঘ্নে হয় এবং ভাই বা দাদার দীর্ঘায়ু থাকে সেই ভাবনা থেকেই এই অভিনব ভাবনাকে প্রশংসা করেছে অনেকে।