ভ্যাকসিনেশন ছাড়া কোনভাবেই করোনা ভাইরাসের হাত থেকে আমরা বাঁচতে পারব না। এই মুহূর্তে যদি একটা বড় সংখ্যক মানুষের টিকাকরণ সম্ভব হয় তখনই আমরা করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিততে পারবো বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এখনো পর্যন্ত আমাদের দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ শুরু হয়ে গিয়েছে একেবারে জোর কদমে। ১৮ বছরের উর্ধ্বে বেশকিছু মানুষ টিকা পেয়েছেন বটে। তবে সব থেকে বেশি টিকাকরণ হয়েছে ৪৫ এর বেশি বয়সের মানুষের। কিন্তু, করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ আসলে শিশুদের আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা প্রবল।
তাই এই পরিস্থিতিতে শিশুদের ভ্যাক্সিনেশন অত্যন্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। আমেরিকায় ইতিমধ্যেই জো বাইডেন সরকার ফাইজারকে ১২ থেকে ১৫ বছরের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তাদের ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর কথা ঘোষণা করে দিয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ১৮ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের জন্য কোনরকম টিকা ভারতের বাজারে উপলব্ধ নয়।
তবে এবারে অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকা বাজারে নিয়ে আসার জন্য উদ্যোগী হলো কোভ্যাকসিন নির্মাণকারী সংস্থা ভারত বায়োটেক। তারা ঘোষণা করে দিয়েছে তারা এবারে তাদের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করতে চলেছে ২ থেকে ১৮ বছরের বাচ্চাদের মধ্যে। যদি এই সমস্ত ট্রায়াল এবং টেস্টিং সফল হয়ে যায় তাহলে কিন্তু ভারত বায়োটেকের এই ভ্যাকসিন অর্থাৎ কোভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবেন অপ্রাপ্ত বয়স্করা। দেশের ৫২৫ টি জায়গায় এই টেস্টিং হবে। এরমধ্যে বিহার এবং দিল্লির এইমস, নাগপুরের মেডিট্রিনা ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সাইন্স রয়েছে। সব জায়গায় টেস্টিং করে দেখা হবে এই ভ্যাকসিন দেওয়ার পরে তাদের শরীরে কোনরকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা।
তবে, শুধু ছাড়পত্র নয়, জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারত বায়োটেক যদি দ্বিতীয় ফেজের ট্রায়ালে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা বিধি নিশ্চিত করে তবেই কিন্তু তৃতীয় ফেজের গবেষণা শুরু করতে পারবে তারা। হায়দ্রাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক তাদের এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করার আর্জি রেখেছিল সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের কাছে। তাদের থেকে অনুমতি মেলার পরেই এই ট্রায়াল শুরু করা হচ্ছে।