ফাঁসি কার্যকর হতেই তিহাড় জেলের বাইরে উচ্ছসিত জনতার স্লোগান ‘ভারত মাতা কি জয়’
বছর আটেক আগে ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর এক শীতের রাতে বাসে করে ফিরছিলেন প্যারামেডিকেলের ছাত্রী। সঙ্গে ছিলেন তার বন্ধুও। এরপর ওই বাসের জনা চারেক ব্যক্তির দ্বারা ২৩ বছরের ওই যুবতীকে গনধর্ষন করা হয়। নৃশংস ভাবে মারা হয়। যোনিতে রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। বাসের মধ্যে যুবতীর বন্ধুটিকেও মারধর করা হয়। এরপর চলন্ত বাস থেকে দুজনকেই ফেলে দেওয়া হয়। এই নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে রাজধানীর রাজপথে সাধারণ মানুষ নেমে আসে। দেশ জুড়ে এই ঘটনার চরম নিন্দা করে দোষীদের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন জানায় সারা দেশবাসী।
অবশেষে আজ ভোর ৫:৩০ মিনিটে পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনে ফাঁসি হয় নির্ভয়া মামলার অভিযুক্তদের। এদিন ভোরে তিহাড় জেলের বাইরে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান। যদিও ভিতরে কি হচ্ছে জানা না গেলেও বাইরে থেকে জানা যাচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত সাজাটির প্রক্রিয়া সম্পুর্ন হয়েছে। তারপরই চলে মিষ্টি বিতরণ। ফাঁসির খবর আসতেই ভারতের জাতীয় পতাকা নিয়ে ‘ভারত মাতা কি জয়’ ধ্বনি শোনা যায়। অবশেষে দীর্ঘ প্রায় আট বছরের লড়ায়ের যেনো সুরাহা হলো। জেলের বাইরে মানুষের ভিড়, হাতে পোস্টার, তাতে লেখা রয়েছে, বহু প্রতীক্ষিত নির্ভয়া বিচার পেল, বাকি কন্যারা অপেক্ষা করছে।
আরও পড়ুন : নির্ভয়া কাণ্ডের দোষীদের শেষ ইচ্ছা কী ছিল? জানুন সব তথ্য
বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনার সাজায় মুখিয়ে ছিল গোটা দেশ। এক দুই বার নয়, তিনবার ফাঁসির দিন ঠিক হয়েও পিছিয়ে যাওয়ায় এবার কোনো ফাঁকই রাখেনি জেল কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ এতগুলো বছর পর নির্ভয়ার বিচার পাওয়ায় আনন্দে উল্লাসিত হয়ে পড়েন তিহাড় জেলের বাইরের অপেক্ষারত মানুষ।