BREAKING : দিল্লিতে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে ভীম আর্মি প্রধানের ১৪ দিনের জেল হেফাজত
নয়া দিল্লী : সিএএ নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের কারণে আগেই গ্রেফতার হতে হয়েছে ভীম আর্মি প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদকে। এবার তাঁকে ১৪ দিন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। শনিবারই তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লির তিস হাজারি হাইকোর্ট।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে উত্তাল গোটা দেশ। গত কয়েকদিন ধরে ভারতের বিভিন্ন জায়গার এক ছবি। শুক্রবার সকালে এরকমই এক প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরাতন দিল্লির জামা মসজিদ চত্বর। যে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে প্রথম সারিতে ছিলেন ভীম আর্মির সমর্থকরা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। চালায় জলকামান।
আরও পড়ুন : ঝাড়খণ্ডে ম্যাজিক ফিগার ক্রস করতে পারবে না বিজেপি, বুথ ফেরত সমীক্ষায় ঈঙ্গিত
এদিনই প্রথমে আটক পরে গ্রেফতার করা হয় ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদকে। তাঁর বিরুদ্ধে আইন না মেনে জমায়েতের অভিযোগের পাশাপাশি জনতাকে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এর আগে একই ঘটনায় আরও ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবারই দিল্লির তিস হাজারি আদালতে জামিনের আবেদন নিয়ে যান চন্দ্রশেখরের আইনজীবী। কিন্তু আদালত তা না মঞ্জুর করে দেয়। উল্টে তাঁকে ১৪ দিনের জন্য বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। অবশ্য ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজত নিয়ে চন্দ্রশেখরের বক্তব্য, ‘আমি আগেও বলেছি, আমার নাম চন্দ্রশেখর আজাদ। আমাকে বন্দি করে রাখা সম্ভব নয়।’
গ্রেফতার হলেও তাঁর অনুগামীদের স্পষ্ট বার্তা দেন চন্দ্রশেখর, ‘সিএএ প্রত্যাহার করানোর জন্য দরকার হলে আমাদের প্রাণ উৎসর্গ পর্যন্ত করতে হবে। আমরা কখনওই হিংসাকে সমর্থন করি না। আমাদের সমর্থকরা হিংসায় বিশ্বাস করে না।’ তাঁকে গ্রেফতার করা হলেও শনিবার দমানো যায়নি ভীম আর্মির সমর্থকদের। প্রতিবাদ হয়েছে আরও জোরালো। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার পড়ুয়াদের পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন তাঁরা।