আন্তর্জাতিকনিউজ

তামাকজাত পণ্যে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার থিম্পু প্রশাসনের

Advertisement

ভুটান: তামাকজাত দ্রব্যের নিষেধাজ্ঞা এই শব্দটা যে তামাক ব্যবহারকারীদের কাছে কতোটা কঠিন তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু সিগারেট-সহ সব তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার অপরাধ হিসেবে মনে করে ভুটান। তাই ১৭২৯ সালে প্রথম তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন চালু হয় ভুটানে। এমনকি দেশের মানুষদের তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহারের রাশ টানতেই ২০১০ সাল থেকে থিম্পুতে বন্ধ তামাকজাত পণ্যের উৎপাদন।

দেশের মানুষদের তামাকজাত দ্রব্যের চাহিদা যোগান দেওয়ার জন্য ভারত থেকেই নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে তামাক আনতে হয় ভুটানকে। ভারত থেকে আনা এই তামাকজাত দ্রব্য কিনতেও চড়া কর দিতে হয় ভুটানবাসিকে। কিন্তু তাও উপায় নেই, এতোদিন চড়া দামেই তামাক কিনে আসতে হয়েছে ভুটানের মানুষকে।

শোনা গেছে করোনা আবহে দুই দেশের মধ্যে এই তামাকজাত দ্রব্যের আদান প্রদানের কারণে ভুটানে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ হয়ে গেলেও বন্ধ হয়নি তামাকজাত দ্রব্যের চোরাচালান।  লকডাউনের মধ্যেও সীমান্ত পেরিয়ে ভারত থেকে ভুটানে ঢুকছে সিগারেট-সহ অন্যান্য তামাকজাত পণ্য। আর তার সাথে সাথেই এসেছে করোনা ভাইরাস। তাই খানিক বাধ্য হয়েই তামাকজাত দ্রব্যের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভুটান প্রশাসন।

এর ফলে আগের থেকে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। তাই করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য এবার নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে ভুটান প্রশাসন। আপাতত ভুটানেই সিগারেট-সহ বিভিন্ন তামাকজাত পণ্যের উৎপাদন হবে বলে জানানো হয়েছে এবং সেইক্ষেত্রে নেওয়া হবে না অতিরিক্ত করও। দেশের মানুষদের  কথা ভেবেই এই সাময়িক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই আবার আগের মতন তামাকজাত দ্রব্যে রাশ টানবে ভুটান প্রশাসন।

Related Articles

Back to top button