Axis Bank-এ অ্যাকাউন্ট আছে? গ্রাহকদের জন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছে ব্যাঙ্ক
আপনার কাছেও কি অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ড আছে? তাহলে আপনার জন্য রইল জরুরি খবর। অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের বহু ক্রেডিট কার্ড হোল্ডারের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। ব্যাঙ্কের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মতে, অনেক গ্রাহকের কার্ড না জানিয়েই বিদেশে লেনদেন হয়েছে।
অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের কার্ড ও পেমেন্ট বিভাগের প্রধান সঞ্জীব মোঘে জানিয়েছেন, এই গ্রাহকরা কম অঙ্কের অনলাইন শপিং ই-কমার্স ওয়েবসাইটে লেনদেন সম্পর্কে সতর্কবার্তা পেয়েছেন। একই সঙ্গে ব্যবহারকারীরা কিছু লেনদেনের জন্য ওটিপি পেয়েছেন কিন্তু তারা সেই লেনদেন করেননি। ব্যাংকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তাদের সিস্টেমে কোনো ত্রুটি নেই। কোনও তথ্য বেহাত হয়নি, কোনও তথ্যও বেহাত হয়নি। আরও বলেন, প্রতারণামূলক লেনদেন খুবই কম।
ব্যাংকের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের তথ্য সম্পূর্ণ নিরাপদ রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়। আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে ব্যাঙ্কের তরফে কিছু লেনদেন বন্ধ করা হয়েছে। তারপরও কিছু গ্রাহক সমস্যায় পড়েন। ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ড হোল্ডাররা প্রতিদিন ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে। সে তুলনায় প্রতারণামূলক লেনদেন খুবই কম। তবে এতে কতজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সে বিষয়ে ব্যাংকটি কোনো তথ্য দেয়নি। তবে তিনি বলেন, মোট ব্যয়ের খুব সামান্য অংশই জালিয়াতি। তিনি আরও বলেছিলেন যে এতে ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাহকের সংখ্যা হাজার এবং লক্ষ হতে পারে।
প্রতারকরা কোনওভাবে ক্রেডিট কার্ড নম্বর এবং তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখগুলি সন্ধান করতে সক্ষম হয়েছিল। যেহেতু এগুলি বৈদেশিক লেনদেন ছিল, তাই স্বাভাবিক সুরক্ষা ব্যবস্থা (যেমন এসএমএস বা সিভিভি নম্বরের মাধ্যমে ওটিপি) প্রয়োগ করা হয়নি এবং লেনদেন সম্পন্ন হয়েছিল। অনেক সময় পেট্রোল পাম্প বা রেস্তোরাঁয় সোয়াইপ করতে গিয়ে ক্রেডিট কার্ড কারও হাতে চলে যায়, যার কারণে কার্ড নম্বর পেয়ে যায় প্রতারকরা। তবে ১৬ ডিজিটের কার্ড নম্বরে প্রাথমিক ৬ ডিজিট উল্লেখ করেছে ব্যাংক। এখন বিষয়টি নজরে আসার পর ব্যাঙ্ক ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের ক্রেডিট কার্ড পরিবর্তন করে তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া টাকা ফেরত দিচ্ছে। ব্যাঙ্কের তরফে এই ঘটনার কথা রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে জানানো হয়েছে। আধিকারিকের মতে, ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা রোধে ব্যাঙ্ক এখন নিরীক্ষা সংক্রান্ত তদন্ত চালাচ্ছে।