মে মাসের শেষেই ফের এক ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Update) সতর্কবার্তা দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কয়েক দিনের বৃষ্টির পর আবারো পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। অস্বস্তিকর গরমে একটু বৃষ্টির অপেক্ষায় বসে রাজ্যবাসী। এর মাঝেই ফের এক ঘূর্ণিঝড়ের আপডেট দিয়েছে হাওয়া অফিস। বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় রেমাল নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে চর্চা। কতটা বিধ্বংসী হবে এই ঘূর্ণিঝড়, আদৌ কি বাংলায় পড়বে এর প্রভাব?
এবার হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হল, রেমাল নিয়ে অযথা চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয়েছিল। সেই বৈঠকে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আঞ্চলিক অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোনো নিম্নচাপও তৈরি হয়নি। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, ২৩ মে দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগর সংলগ্ন অঞ্চলে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। দ্বিতীয় সপ্তাহে সেটি শক্তিবৃদ্ধি করে দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর আন্দামান সাগর এলাকায় নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষের দিকে অর্থাৎ ২৪ থেকে ৩০ মে এর মধ্যে তা শক্তিবৃদ্ধি করে উত্তর এবং উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
সাইক্লোন তৈরি হবে কিনা তা এখনই স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। আর তাই যদি সাইক্লোন তৈরিও হয় তবে তা কোথায় আর কত গতিবেগে আছড়ে পড়বে সেটাও এখনই বলা সম্ভব নয়। এর আগের শোনা গিয়েছিল, আয়লা, আমফানের চেয়েও বেশি শক্তিশালী হতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। অর্থাৎ আরো বেশ ধ্বংসলীলা চালানোর সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। হাওয়া অফিসের খবর, আগামী ২০ মে থেকে এই ঝড়ের গতিপথ ক্রমশ স্পষ্ট হতে শুরু করবেন ঠিক কোন জায়গায় কত গতিবেগে আঘাত হানবে এই ঘূর্ণিঝড় তাও জানা যাবে। তবে আবহাওয়া দফতরের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এখনই এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে অযথা আতঙ্কের কোনো প্রয়োজন নেই।
তবে হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, এ বছর সময়ের আগেই প্রবেশ করছে বর্ষা। ১৯ মে রবিবার, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে নির্ধারিত সময়ের আগেই বর্ষা প্রবেশ করবে বলে অনুমান হাওয়া অফিসের। সাধারণত আবহাওয়া দফতর ২৫ বছরের গড় করে একটি দিন ঠিক করে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করার। এই হিসেব মতো আন্দামানে নিকোবরে মৌসুমী বায়ু প্রবেশের দিন নির্ধারিত হয়েছে ২২ মে। ভারতের মূল ভূখন্ড অর্থাৎ কেরলে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করার দিন ১ জুন। আর সারা ভারতে মৌসুমী বায়ু পৌঁছানোর কথা রয়েছে ৮ জুলাইয়ের মধ্যেই।