Bullet Train: বিহারে শীঘ্রই চলবে বুলেট ট্রেন, আরা থেকে হাওড়া আসতে সময় লাগবে মাত্র দু ঘন্টা
বিহারের বুলেট ট্রেন পরিষেবা নিয়ে সবাই বেশ আশাবাদী বলেই মনে করা হচ্ছে
বিহারের ভোজপুর জেলায় বুলেট ট্রেন প্রকল্পের জন্য বিস্তৃত জরিপ ও জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পটি বিহারের পরিবহন ব্যবস্থায় একটি বিপ্লব ঘটাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বারাণসী-হাওড়া রুটে চলাচলকারী এই বুলেট ট্রেনটি বিহারের ভোজপুর জেলার ৩৮টি গ্রামের মধ্য দিয়ে যাবে এবং এখানে একটি নতুন স্টেশন নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যেই এই নতুন ট্রেনের রুট চার্ট প্রস্তুত করা হয়েছে। বুলেট ট্রেনের পুরো কাজ দুই ধাপে শুরু হবে। প্রথম পর্যায়ে, বক্সার, পাটনা এবং গয়াতে স্টেশন তৈরি করা হবে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে, আররাহ এবং জেহানাবাদে স্টেশন তৈরি করা হবে। পাঁচটি জেলাতেই জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলুন তাহলে এই প্রকল্পের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
কিভাবে এগোচ্ছে কাজ?
আপনাদের জানিয়ে রাখি ইতি মধ্যেই বিহারে এই বুলেট ট্রেন প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ভোজপুর জেলায় প্রায় ৯৫ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। পাটনা জেলায়ও ১৩৫ হেক্টর জমি অধিগ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি ভারতীয় রেলওয়ে জানিয়েছে, ভোজপুর জেলায় ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য প্রায় ৫০ কিলোমিটার হবে। এই ট্রেনের গতির ব্যাপারে বলতে গেলে, বুলেট ট্রেনটি বারাণসী-হাওড়া রুটে ৩৫০ কিলোমিটার গতিবেগে চলবে এবং আরা থেকে হাওড়া পর্যন্ত যাত্রা মাত্র দুই ঘণ্টায় সম্পন্ন হবে। নয়াদিল্লির টিলা কনসালট্যান্টস প্রাইভেট লিমিটেড এই প্রকল্পের জন্য জরিপ কাজ করছে। জরিপ কর্মীরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে বাড়িঘর, স্থাপনা এবং অন্যান্য কাঠামোর তথ্য সংগ্রহ করছেন। এছাড়াও, পূর্ব রেলওয়ে জানিয়েছে, ভোজপুর জেলায় একটি বুলেট ট্রেন স্টেশন নির্মাণ করা হবে। জরিপের কাজ শেষ হলে ২০২৫ সাল থেকে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রকল্পের গুরুত্ব কতটা?
বুলেট ট্রেন পরিষেবা শুরু হলে, বুলেট ট্রেনের মাধ্যমে যাত্রীরা দ্রুততর এবং আরামদায়কভাবে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। এই প্রকল্পটি ভোজপুর জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও, এই বুলেট ট্রেন পরিষেবাটি বিহারের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে এই প্রকল্পটি সাহায্য করবে। ফলে সার্বিকভাবে বিহারের উন্নতি সম্ভব হবে এই বুলেট ট্রেন পরিষেবার মাধ্যমে। তবে এই প্রকল্পের বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সমঝোতা স্থাপন করা খুব একটা সহজ কাজ হবে না বলেই মনে করছেন অনেকে। আবার পরিবেশগত প্রভাবের দিক থেকেও অনেকে চিন্তিত। তবে, ভোজপুরে বুলেট ট্রেন প্রকল্পটি বিহারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। এই প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হলে রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। তবে, এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি।