ভারত সরকার মোবাইল এবং সিম কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম জারি করেছে। এই নিয়মগুলির উদ্দেশ্য হল জালিয়াতি এবং অপরাধ কমানো। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সিম কার্ড পেতে হলে অবশ্যই গ্রাহককে নিজে উপস্থিত থাকতে হবে। তারপর তাকে আধার কার্ড বা অন্যান্য বৈধ পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। সেই পরিচয়পত্রের সাথে তার বায়োমেট্রিক তথ্যের মিল থাকতে হবে। বায়োমেট্রিক তথ্যের মধ্যে রয়েছে আঙুলের ছাপ এবং আইরিস স্ক্যান। এছাড়াও, সিম কার্ড পেতে হলে গ্রাহককে একটি OTP পাঠাতে হবে। এই OTP তার আধার কার্ডের সাথে লিঙ্ক করা মোবাইল ফোনে পাঠানো হবে।
এই নতুন নিয়মগুলির ফলে সিম কার্ড কেনা আগের তুলনায় অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। এর ফলে জালিয়াতি এবং অপরাধ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, আগে কেউ অন্যের পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সহজেই সিম কার্ড নিতে পারত। কিন্তু এখন সেক্ষেত্রে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক তথ্যের সাথে পরিচয়পত্রের তথ্যের মিল থাকা জরুরি। তাই কেউ অন্যের পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সিম কার্ড নিতে চাইলে তাকে বায়োমেট্রিক তথ্য জালিয়াতি করতে হবে, যা অত্যন্ত কঠিন। অন্যান্য জালিয়াতির ক্ষেত্রেও নতুন নিয়মগুলি কার্যকর হবে। উদাহরণস্বরূপ, কেউ অন্যের নামে ফোন কল বা এসএমএস পাঠিয়ে অপরাধ করতে পারে। কিন্তু এখন সিম কার্ডের সাথে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক তথ্য যুক্ত থাকায়, সেক্ষেত্রে অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা সহজ হবে।
এছাড়াও অনেক নতুন নিয়ম টেলিকম কোম্পানিগুলির জন্যও প্রযোজ্য হয়েছে। এই নিয়মগুলির মধ্যে রয়েছে:
১) গ্রাহকদের সম্মতি ছাড়া কোনও প্রচারমূলক বার্তা পাঠানো যাবে না।
২) গ্রাহকদের অভিযোগ নিষ্পত্তি করার জন্য একটি নোডাল এজেন্সি তৈরি করা হবে।
এই নতুন নিয়মগুলির ফলে টেলিকম কোম্পানিগুলির কাজকর্মে আরও স্বচ্ছতা আসবে। ভারত সরকারের এই নতুন নিয়মগুলি মোবাইল এবং সিম কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাড়াতে সাহায্য করবে। এটি জালিয়াতি এবং অপরাধ কমাতেও সহায়ক হবে।