নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হবার পর থেকেই বিজেপির একাধিক নেতা বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেছেন। একাধিক নেতা বেসুরো হচ্ছেন বিজেপির অন্দরে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির যখন এত টালমাটাল অবস্থা সেই সময় বেসুরো তালিকায় নাম লেখালেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি রাজ কমল পাঠক। মূলত, আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার দলবদল প্রসঙ্গে তিনি দলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করলেন। সোমবার আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা তার অনুগামীদের নিয়ে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। তারপর থেকেই সুর চড়িয়েছেন বহু নেতা।
গঙ্গাপ্রসাদের তৃণমূলে যোগ দেওয়া সম্পর্কে রাজকমল বললেন, “গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার নেতৃত্বে বিধানসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার জেলার সমস্ত আসন জিতলো বিজেপি। তিনি বহু পুরনো নেতা ভারতীয় জনতা পার্টির। তিনি কেন দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন? নেতৃত্বকে এটা নিয়ে ভাবার প্রয়োজন রয়েছে।” যদিও রাজকমল বাবু দলত্যাগ করে তৃণমূলে যোগদান করবেন কিনা, সেই নিয়ে তিনি কিছু জানাননি। যদিও গঙ্গাপ্রসাদবাবুর দলত্যাগকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার দলত্যাগে কোনরকম সমস্যা হবে না বিজেপির।”
অন্যদিকে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের কেউ গঙ্গাপ্রসাদ এর দলত্যাগ নিয়ে ভাবতে রাজি নন। তার মধ্যেই নিজের মন্তব্য সামনে এনে বিতর্ক উস্কে দিলেন বিজেপি রাজ্য সহ-সভাপতি রাজ কমল পাঠক। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা ছাড়াও আলিপুরদুয়ার বিজেপির আরও সাতজন নেতারা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপি সাধারণ সম্পাদক বীরেন্দ্র, সম্পাদক বিনোদ ব্লিঞ্জ, সহ সভাপতি বিপ্লব সরকার, কুমারগ্রাম মন্ডল প্রেসিডেন্ট নিশান লামা, কালচিনির আহ্বায়ক কৃপাশঙ্কর জয়সওয়াল, সহ-আহ্বায়ক ঈশ্বর কুমার বিশ্বকর্মা এবং অসীম কুমার লামা।
গতকাল তৃণমূলে যোগদান করে গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেছেন, “আলিপুরদুয়ারে বিজেপি ভালো ফল করা সত্ত্বেও তৃণমূলে এলাম কারণ নির্বাচনের আগে থেকেই জেলাকে বাদের তালিকায় রেখে দিয়ে কাজ করেছিল বিজেপি হাইকমান্ড। দিল্লি-কলকাতা কে নিয়ে যোগদান করানো হচ্ছিল নেতাদের। জেলাকে সেই সমস্ত বিষয়ে কোন ভাবে জানানো হয়নি। সেই সময় যদি আমি তৃণমূলে যোগদান করতাম তাহলে আমাকে গদ্দার বলা হত, তাই নির্বাচন শেষে যোগদান করলাম। ৫ আসনে দলকে জিতিয়েছি কিন্তু তখন থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলাম।”