বিধানসভা অনাস্থা আনতে পারে গেরুয়া শিবির। মঙ্গলবার সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে প্রাতর্ভ্রমণে গিয়ে এমনটাই বললেন রাজ্য পদ্ম শিবিরের সভাপতি দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)। জল্পনা উস্কে দিয়ে দিলীপ ঘোষ এইদিন জানিয়েছেন, আমাদের কাছেও ভাল সংখ্যায় এমএলএ রয়েছে। সেই কারণে বিধানসভায় অনাস্থা আনার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিজেপির অনাস্থা আনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দমদমের শাসক শিবিরের সাংসদ সৌগত রায়(Sougata Roy)।
সোমবার তথা গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) জানিয়েছেন যে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনতে বিধানসভায় অধিবেশন ডাকা হবে। সেই বিষয়ে এইদিন রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেছেন, তিনি যেটা ভাবছেন, ভেবেচিন্তে ভাবুক। ভাবনা চিন্তা করে অধিবেশন ডাকুক। তার কারণ যদি অনাস্থা এসে যায় সরকারটাই পড়ে যাবে। আমার মনে হয় সেই সাহস ওনার হবেনা। আদৌ বাজেট সেশন হবে নাকি সেটাও এখন একটা চিন্তার বিষয়। যেভাবে কংগ্রেসের, সিপিএমের অনাস্থা আনার হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যদি সত্যিই সেটা তারা করে তবে সরকার চলবে না মে মাস পর্যন্ত ও।
দিলীপ ঘোষকে এইদিন প্রশ্ন করা হয়,” আপনারা অনাস্থা আনতে পারেন?” সেই উত্তরে তিনি বলেছেন,” আমরা অনাস্থা আনতে পারি। সম্ভাবনাও রয়েছে আনার। আমাদের কাছেও ভাল সংখ্যায় এমএলএ রয়েছেন এখন। যে সমস্ত এমএলএ এখনও দলে যোগ দেওয়ার ঘোষণা করেননি তাদের সংখ্যাও অনেক।” কিন্তু গেরুয়া শিবিরের অনাস্থাকে কি সিপিএম এবং কংগ্রেস সমর্থন করবেন? দিলীপ ঘোষের জবাব,”ওরা করবেন কি না তা আমরা জানিনা।”
এইদিকে দিলীপ ঘোষের অনাস্থা আনার হুশিয়ারির পাল্টা প্রশ্ন করেছেন শাসক শিবিরের দমদমের সংসদ সৌগত রায়। তার বক্তব্য,অনাস্থা আনতে দরকার ৩০ জন বিধায়ক। ওদের কাছে তা আছে? কংগ্রেস এবং সিপিএমের সাথে মিলে কি অনাস্থা আনবেন? তিনি কোনও নিয়মই জানেন না। তার হুঁশিয়ারির কি এমন মূল্য আছে?
পরিসংখ্যান দিয়ে তৃণমূল সাংসদ জানান,”বিজেপির প্রথমে ছিল তিনজন বিধায়ক। তা বেড়ে এখন হয়ে গিয়েছে ৮ জন। আরও ৬ জন যোগদান করেছেন এখন। হয়ে দাঁড়িয়েছে ১৪। অনাস্থা আনার ক্ষমতা দিলীপ ঘোষের দলের নেই।”