বাংলা নির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্বাচনের ফল অনেকটা নির্ভর করে সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কের ওপর। এর আগে উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলায় ১৮ টি আসন পেলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি বলে দিয়েছিলেন, “পুরোটা হিন্দু-মুসলমানে খেলা চলছে।” তারপর সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এও বলেছিলেন, “যে গরু দুধ দেয় আবার তার লাথিও খাব।” সম্ভবত তিনি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কথাই বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আগের বছরের লোকসভা নির্বাচনের থেকেও একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ধর্মীয় মেরুকরণের প্রবল সম্ভাবনা দেখে একটু চিন্তায় তৃণমূল সুপ্রিমো।
একুশের বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে মমতার সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক এ বড়োসড়ো থাবা বসাতে পারে কট্টরপন্থী মুসলিম পার্টি মজলিস-ই-ইত্তেহাদ-উল-মুসলিমিন বা মিম। মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসী ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে বাংলায় তারা একুশের ভোটে প্রার্থী দেবে। আসলে তাদের ঘাঁটি মুর্শিদাবাদ জেলা এবং লক্ষ্য রাজ্যের মুসলিম ভোট। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে চাইছেন, বিজেপি মিম গট আপ কেস। আসলে পুরো রাজ্যে হিন্দু-মুসলমান বিভাজন করে ভোট ভাগাভাগি করে নিতে চাইছে বিপক্ষ দল বলেই দাবি তৃণমূল সুপ্রিমোর।
আজকে জলপাইগুড়ি শহরে সভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি একাধারে বিজেপি ও মীমকে কটাক্ষ করে বক্তব্য রেখেছেন। রাজনৈতিক দলের নাম না নিয়ে তিনি বলেছেন, “হিন্দুদের এলাকায় গিয়ে ওরা খুব গালাগালি দেবে হিন্দুদের। তাহলে হিন্দুদের ভোটটা তো বিজেপি পাবে। আবার মুসলমানদের এলাকায় গিয়ে ওরা নিজেদের সম্বন্ধে খুব ভালো কথা বলবে। তাহলে মুসলমানদের ভোটটা ওরা নেবে। তাহলে ব্যাপারটা দাঁড়ালো, হিন্দুদের ভোট নিচ্ছে বিজেপি আর মুসলিমদের ভোট দেবে ওরা। তাহলে আমি কি কাঁচকলা খাব?”
তিনি সরাসরি মীমের নাম না নিয়ে বিজেপি মিমের সখ্যতাকে একহাত দিয়ে বলেছেন, “বাংলায় সংখ্যালঘুদের ভোট ভাগ করার জন্য হায়দ্রাবাদের পার্টি ডেকে আনছে। এই পার্টিটা নাকি বাংলার সংখ্যালঘু ভোট কেড়ে নেবে। যেমন ঠিক বিহার নির্বাচনে হয়েছিল। বিজেপি ওদের টাকা দেয় আর সেই টাকাতেই ওরা.. এখন তো দেখছেন বিহারে ওরা কি করছে। কিন্তু বাংলায় সেটা হতে দেবো না। বাংলার সংখ্যালঘু ভাইবোনেরা ওদের সাথে নেই।”