বিজেপি শোভনকে দেবে তার পছন্দের বেহালা পূর্ব, পায়েল স্থানান্তরিত হবে বেহালা পশ্চিমে
এতদিন বিজেপি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেনি
একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচন দোড়গোড়ায় এসে উপস্থিত হয়েছে। আর কিছুদিনের মধ্যেই আছে প্রথম দফা নির্বাচন। কিন্তু তার আগে বিজেপি এখন তাদের প্রার্থী তালিকা ধাপে ধাপে প্রকাশ করছে। গত রবিবার বিজেপি তাদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার ৬৩ আসনের প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তখন শোভন বৈশাখী জুটি তাদের পছন্দের সিট না পাওয়ায় তারা দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে দলকে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি জানা যাচ্ছে দল সেই চিঠি এখনো গ্রহণ করেনি অর্থাৎ দল শোভন বৈশাখী জুটিকে দলের কাজ থেকে অব্যাহতি দেয়নি। এবারের নির্বাচনে তারাও তাদের পছন্দের সিট পেতে পারে।
আসলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে যে শোভন চ্যাটার্জির সাথে দৈনন্দিন যোগাযোগ রেখেছিল বিজেপি। তাকে এবারের বিজেপি প্রার্থী তালিকায় হইতো বেহালা পূর্বের প্রার্থী করা হতে পারে। অন্যদিকে পায়েল সরকারকে স্থানান্তর করে বেহালা পশ্চিমের প্রার্থী করা হবে। এছাড়া বৈশাখীও তার নিজের পছন্দের কেন্দ্র পাবে। আসলে বিজেপি কোনোভবেই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে হাতছাড়া করতে চায় না। তাই আজকের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার আগে গতকাল রাতভর বৈঠক করেছে কেন্দ্রীয় গেরুয়া নির্বাচন কমিটি।
অন্যদিকে শোভন বৈশাখী জুটি ছাড়াও একাধিক সাংসদ ও শীর্ষ বিজেপি নেতাদের প্রার্থী করতে চায় বিজেপি। হয়তো এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন রাহুল সিনহা, মুকুল রায়, কল্যান চৌবে, সায়ন্তন বসুর মত প্রথম সারির বিজেপি নেতারা। জানা গিয়েছে, হয়তো হাবড়ায় প্রার্থী করা হবে রাহুল সিনহাকে। অন্যদিকে কৃষ্ণনগরের প্রার্থী হবেন মুকুল রায় এবং রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার প্রার্থী হবেন। অশোক লাহিড়ীকে বালুরঘাট থেকে দাঁড় করানো হতে পারে। তবে মতুয়া সম্প্রদায় অধিপতি শান্তনু ঠাকুরকে হয়তো নির্বাচনে প্রার্থী করা হবে না।
এছাড়াও জানা গিয়েছে, বিজেপির প্রথম সারির নেতা সায়ন্তন বসু এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে লড়বেন। দমদম থেকে তিনি নির্বাচন লড়তে পারেন। এছাড়া বিধাননগরে দাঁড়াতে পারেনি সব্যসাচী দত্ত এবং কামারপুকুর থেকে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজারহাট গোপালপুর থেকে বিজেপি প্রার্থী হতে পারেন শমীক ভট্টাচার্য কল্যান চৌবে কৃষ্ণনগর দক্ষিণের গেরুয়া প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়তে পারে।