এবার শিলিগুড়িতে বিজেপি এবং পুলিশ কর্মীদের মধ্যে খন্ডযুদ্ধের ফলে মৃত্যু হল একজন বিজেপি কর্মীর। এরকমটাই খবর বিজেপি নেতৃত্ব সূত্রে। বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযান নিয়ে সকাল থেকেই উত্তপ্ত রয়েছে শিলিগুড়ি। তারই মধ্যে এদিন শিলিগুড়িতে দুই দলের খন্ড যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। পুলিশ এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ হবার ফলে পুলিশ তাদেরকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। সেই লাঠির মারে ওই বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে গেরুয়া শিবির।
বিজিবি সূত্রে জানা গিয়েছে কিছুক্ষণ আগে শিলিগুড়ির এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওই কর্মীর মৃত্যু ঘটে। জানা যাচ্ছে ওই বিজেপি কর্মীর নাম উলেন রায় এবং তার বয়স ৫০। বিজেপির দীপেন প্রামাণিক অভিযোগ করেছেন, বিজেপি কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছিলেন ঐ কর্মী। সেখানেই পুলিশের বেধড়ক মারে আহত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি। জানা যাচ্ছে, ওই বিজেপি কর্মীর গজলডোবা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
সোমবার বেলা দুটো নাগাদ বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে চেহারা নিয়েছিল শিলিগুড়ি। শিলিগুড়ি টিনবাত্তি মোড়ে আচমকা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন যুব মোর্চার সর্মথকরা। সেখানে পুলিশ এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। ওই মোড়ে রাস্তায় বসে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। তারপর পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে সারা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জামায়াতকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে প্রথমে টিয়ারগ্যাস করা হয় তারপর জলকামান চালানো হয়। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের মধ্যে পুলিশ বিক্ষিপ্ত জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
জানা গিয়েছে সেই সময় পুলিশের ছোড়া একটি রবার বুলেট সরাসরি বছর পঞ্চাশের ওই বুথ কর্মীর বুকে গিয়ে লাগে। একেবারে পায়ের সামনে ফাটে গিয়ে টিয়ার গ্যাসের শেল। তৎক্ষণাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাকে ফুলবাড়ীর একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের পরিবার তার মৃত্যুর পরে কান্নায় ভেঙে পড়েছে। মৃতের ভাইয়ের কথায়,”দাদা ব্যারিকেডের কাছে চলে গিয়েছিল। টিয়ার গ্যাসের জন্য শ্বাস নিতে পারছিল না। সেই সময় তিনটে রবার বুলেট গায়ে লাগে। তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে আর বাড়ি ফেরানো গেলোনা।” এই নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিজেপির নেতারা। সংসদ জয়ন্ত রায় বলেছেন, “এভাবে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে শাসক দল।”