নিউজপলিটিক্স

বিজেপি এর এজেন্ডা হচ্ছে ধর্মীয় ফ্যাসিস্টিক অ্যাটিটিউড : ইন্দ্রজিৎ দাশগুপ্ত

Advertisement

কলকাতা জুড়ে বামপন্থী ১৭টি সংগঠন এর ডাকে এন আর সি ও সি এ বি এর বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করে। গতকাল এই কর্মসূচিতে বামপন্থী উচ্চ নেতৃত্ব অংশগ্রহণ করেছিল। কলকাতার ওলা উবের সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ইন্দ্রজিৎ দাশগুপ্ত, ভাইস প্রেসিডেন্ট জয় বোস, সেক্রেটারি মোহাম্মদ মোনু সহ তাবর তাবোর বামপন্থী নেতৃবৃন্দ এই সমাবেশে উপস্থিত হন। সমাবেশ শেষে আমরা কথা বলে নিয়েছিলাম কলকাতা ওলা উবের সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ইন্দ্রজিৎ দাশগুপ্ত এর সঙ্গে। বামপন্থী সংগঠন কেনো এই সি এ বি এর বিরোধিতা করছেন তার উত্তর জেনে নেবার চেষ্টা করেছিলাম।

ইন্দ্রজিৎ দাশগুপ্ত বলেন, সিএএ তে বলা হয়েছে বাইরের দেশ থেকে কেউ এলে ভারতবর্ষ তাদের নাগরিকত্ব দেবে কিন্তু সেটা ধর্মের ভিত্তিতে কেনো দেবার কথা বলা হয়েছে? কেনো বলা হয়েছে যে এই ধর্মাবলম্বী দের নাগরিকত্ব দেয়া হবে আর আর এই ধর্মাবলম্বী মানুষদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে না? এটা কি ভারতীয় ধর্ম নিরপেক্ষ সংবিধান এর পরিপন্থী নয় কি? ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান ও দেশ হওয়া সত্বেও একটি বিশেষ ধর্মকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না এটা আবার কেমন কথা?

আরও পড়ুন : ঝাড়খণ্ডে ম্যাজিক ফিগার ক্রস করতে পারবে না বিজেপি, বুথ ফেরত সমীক্ষায় ঈঙ্গিত

তাছাড়া বিজেপি ফ্যাসিস্ট অ্যাটিটিউড নিয়ে চলে যার জন্যে সে অন্যকে সহ্য করতে পারে না। এদিন জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এর ঘটনাকে বর্বরোচিত আখ্যা দেন। দিল্লি পুলিশ কি করে একটা বিশ্ববিদ্যালয় এর ভেতরে ঢুকে ছাত্রদের মারধর করে বলে তিনি এদিন প্রশ্ন তোলেন।

তিনি আরো বলেন, ভারতবর্ষ হচ্ছে গণতান্ত্রিক দেশ। সেখানে কেউ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করলে তাকে নির্মমভাবে মারধর করা হবে? তিনি আরো বলেন, বিজেপি এর এজেন্ডা হচ্ছে ধর্মীয় ফাসিস্টিক অ্যাটিটিউড। দাঙ্গা লাগানোই এদের কাজ। ২০০২ সালে গোধরাতে নিজেরাই ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দাঙ্গা বাধিয়েছিল। বিজেপি এর যেখানে ক্ষমতায় উত্থান ঘটে সেখানেই দাঙ্গা, হাঙ্গামা বাঁধে বলে এদিন তিনি তীব্র কটাক্ষ করেন বিজেপিকে।

Related Articles

Back to top button