এ বছরেরই শেষ দিকে বিহারে নির্বাচন, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনও রয়েছে সামনের বছরের প্রথমেই। তাই এই দুই রাজ্যে পদ্মফুল ফোটাতে তৎপর গেরুয়া শিবির এখন থেকেই কৌশল স্থির করতে উদ্যোগী হয়েছে। গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি রাজ্যে ক্ষমতা হাতছাড়া হওয়ার পর রাজ্যসভায় কোনঠাসা হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে শাসক শিবিরে। ফলে বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে ভোট শতাংশ ৫০-এর উপরে ক্ষমতা দখলই এই মুহূর্তে একমাত্র লক্ষ্য হয়ে উঠেছে বিজেপি নেতৃত্বের।
সদ্য পেরিয়ে যাওয়া দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসেবে কাউকে তুলে ধরতে না পারার কারণেই যে দলের ভরাডুবি ঘটেছে তা বুঝতে পেরেছে শীর্ষ নেতৃত্ব। ২০১৪ সাল থেকে ‘মোদী হাওয়া’র উপর ভর করে একের পর এক নির্বাচনে জয়লাভ করলেও বর্তমানে সেই কৌশল যে আর কাজ করছে না তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি নির্বাচনে। তাই এবার রাজ্যস্তরের স্থানীয় গ্রহণযোগ্য মুখের উপর ভরসা রাখতে চাইছে বিজেপি। সেই মতো যোগ্য নেতৃত্ব খুঁজতে শুরু করেছে দল।
আরও পড়ুন : এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহেই রাজ্যে পুরভোট
৫০ শতাংশের উপর ভোট পেয়ে যাতে রাজ্যের দখল নেওয়া যায়, তার জন্য স্থানীয় জনপ্রিয় কোন নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তুলে ধরে নির্বাচনে লড়তে চাইছে বিজেপি। আর সেই কাজের সলতে পাকানো শুরু করতে চলছে এখন থেকেই। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব মনে দেশের আইনসভার রাশ নিজেদের দখলে রাখতে হলে রাজ্যে রাজ্যে ক্ষমতায় থাকতে হবে দলকে। সেদিক থেকে স্থানীয় গ্রহণযোগ্য মুখ না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো পোড়খাওয়া নেত্রীকে হারানো বা নীতীশ কুমারের মতো রাজনীতি-দক্ষ জোটসঙ্গীর সঙ্গে আসন রফায় সুবিধা করা সম্ভব নয়। তাই বর্তমানে এই দুই গ্রহণযোগ্য জনপ্রিয় মুখের সন্ধানে রয়েছে বিজেপি।