দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে সবার শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে এখনো পর্যন্ত কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন ১৪,৫৪১ জন ও মৃত্যু হয়েছে ৫৮৩ জনের। এদিকে শুধু মুম্বাইয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৯,০০০ পার করে গিয়েছে ও মৃত্যু হয়েছে ৩৬১ জনের। কিন্তু এসবেরও মধ্যেও মহারাষ্ট্রকে নিয়ে ভয়াবহ আগাম বার্তা মিলেছে এক রিপোর্টে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্রে চলতি মাসের শেষের দিকে আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁতে পারে ৭৫,০০০। অর্থাৎ মহারাষ্ট্রের ভবিষ্যত কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের জেরে মহামারী আকার নিতে চলেছে।
আর এই আগাম রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে মহারাষ্ট্রের সরকার সেভাবেই যুদ্ধে নামতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। রিপোর্টে আরও এক ভয়াবহ ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, ৭৫,০০০ মানুষ আক্রান্তের পাশাপাশি ৬৫,০০০ মানুষের দেহে করোনার কোনো উপসর্গ বিদ্যমান থাকবে না। অর্থাৎ উপসর্গ নেই অথচ কোভিড-১৯-এ আক্রান্তের সংখ্যা হতে পারে ৬৫,০০০। বাকি ১২,০০০ মানুষের শরীরে উপসর্গ বিদ্যমান থাকবে বলে জানা গিয়েছে ওই রিপোর্টে। আর এমন সংকেত বাণীর পর মহারাষ্ট্রের সরকার ও বৃহন্মুম্বই পুর নিগম (বিএমসি) জানিয়েছে, উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীর জন্য শয্যার ব্যবস্থা করা হবে ১৩,৫০০টি।
যেসব রোগীর করোনার উপসর্গ দেখা যাবে তাদের শয্যার ব্যবস্থা রয়েছে হাসপাতালে। বাকি যাদের উপসর্গ থাকবে না বলে জানা গিয়েছে রিপোর্টে তাঁদের জন্য শয্যার ব্যবস্থা করা হবে সমস্ত স্কুল, ম্যারেজ হল, হোটেল ও স্পোর্টস কমপ্লেক্সে। উপসর্গবিহীন রোগীর জন্য ৮০ হাজার শয্যার বন্দোবস্ত করছে মহারাষ্ট্রের সরকার। বিএমসি-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সমস্ত স্কুল, হোটেল, ম্যারেজ হল ও স্পোর্টস কমপ্লেক্সগুলি মিলিয়ে ২৫ হাজার শয্যার বন্দোবস্ত হয়েছে। ২০ টি শয্যা জিমখানায় ও ৩৫ হাজার শয্যা পুরনিগমের ৩৫০ টি স্কুলে তৈরি করা হয়েছে। সবগুলোই উপসর্গ না থাকা রোগীদের জন্য।