বর্তমান যুগে শুধুমাত্র যে ভালো ফ্যামিলি কনটেন্ট ভারতে জনপ্রিয় হচ্ছে সেটা ব্যাপার নয়। এখন কিন্তু অন্যান্য অনেক ধরনের কনটেন্ট আপনারা দেখতে পাবেন এই ধরনের প্ল্যাটফর্মে। বিশেষ করে নিষিদ্ধ বিষয় ও নিষিদ্ধ কনটেন্ট মানুষ এমনিতেই অনেক বেশি পছন্দ করেন। তার মধ্যেও সবথেকে বেশি চলে যেটা সেটা হলো নিষিদ্ধ ওয়েব সিরিজ। আগে শুধুমাত্র টিভিতে গভীর রাতে এই ধরনের কন্টেন্ট চালানো হলেও, এখন কিন্তু মোবাইলের মাধ্যমে খুবই সহজেই এই ধরনের বি গ্রেড কনটেন্ট মানুষ দেখতে পাচ্ছেন। ফলে নিষিদ্ধতার প্রতি মানুষের এই আকর্ষণকেই কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ওয়েব প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে নতুন প্রজন্মের জন্য ‘ইরোটিক’ ওয়েব সিরিজ। এই ধরণের সিরিজ এতটাই আকর্ষণীয় যে, দর্শক একবার দেখলে বারবার দেখতে চান। তবে মনে রাখবেন, এই সিরিজগুলো সকলের সামনে দেখার জন্য উপযুক্ত নয়।
উল্লু ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রাজা কা বাজা’ নামক ওয়েব সিরিজটি তার অদ্ভুত কিছু বিতর্কিত ও যৌন দৃশ্য ও একটি গল্পের জন্য ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা দারুন জনপ্রিয়তা তৈরি করেছে এই সিরিজ। এই সিরিজের গল্প এতটাই আকর্ষণীয় যে যদি কোনো মানুষ এই সিরিজ দেখতে শুরু করে তাহলে সে কিন্তু অনেকক্ষন এই গল্প ছেড়ে উঠতে পারবে না। এই সিরিজটি যৌনতাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এবং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই প্রতিবেদনে আমরা এই সিরিজের গল্প, অভিনয় এবং এর সামাজিক প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
‘রাজা কা বাজা’ সিরিজটি এক যুবকের অদ্ভুত সমস্যাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। এই যুবক প্রতিদিন রাত বারোটা বাজলেই তার গোপনাঙ্গ জেগে উঠতে থাকে। এই সমস্যার সমাধানে সে বিয়ে করে কিন্তু তারপরও সমস্যা থেকে মুক্তি পায় না। শেষমেশ ডাক্তারের পরামর্শের মাধ্যমে সে এই সমস্যার কারণ জানতে পারে। সিরিজটির গল্প ক্লাইম্যাক্সের দিকে এগিয়ে যায়।
হিরাল রাদাদিয়া ও মানবী চুগ, এই দুই অভিনেত্রী সিরিজটিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন এবং তাদের শারীরিক আকর্ষণ দর্শকদের মন কেড়েছে। এছাড়াও, বিনয় সিং, ফিরদৌস খান, হিমানি শর্মার মতো কলাকুশলীরাও সিরিজটিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। তবে, এই ধরনের সিরিজ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে যৌনতা সম্পর্কে ভুল ধারণা সৃষ্টি করতে পারে। এই ধরনের ওয়েব সিরিজ সামাজিক নৈতিকতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। আর এই ওয়েব সিরিজটি অবশ্যই ১৮ প্লাস মানুষদের জন্যই তৈরি হয়েছে।