৮০’র দশকের শেষের দিকে বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল সুরজ বরজাতিয়া পরিচালিত ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছবিটি। বলাই বাহুল্য ছবিটি সেইসময় নিঃসন্দেহে বক্সঅফিস কাঁপিয়ে দিয়েছিল। ছবিটি সালমান খানের সেইসময়ের দ্বিতীয় ব্লকবাস্টার হিট ছিল। ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন ভাগ্যশ্রী। বড়পর্দায় তাদের রসায়ন খুব অল্পসময়ে নজর কেড়েছিল গোটা দর্শকমহলের। এমনকি অভিনেত্রী হিসেবেও নিজের একটা আলাদা পরিচিতি তৈরি করে নিয়েছিলেন দর্শক একাংশের মাঝে।
তবে ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’তে অভিনয় করার পর থেকে আর তাকে সেভাবে বড়পর্দায় দেখা যায়নি। হিমালয় দাসানির সাথে বিয়ের পর থেকেই অভিনেত্রী বড়পর্দায় সেভাবে দেখা দেননি। বর্তমানে বেছে বেছে কাজ করে থাকেন তিনি। বিবাহের পর থেকেই সংসারে মনোযোগী হয়েছিলেন ভাগ্যশ্রী। সেইসময় নিজের ছেলে মেয়েকে সময়ও দিয়েছিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই তার কন্যা ও পুত্র বিনোদন জগৎ’এ আত্মপ্রকাশ করেছে। ছেলের নাম অভিমন্যু, মেয়ের নাম অবন্তিকা। উল্লেখ্য, ভাগ্যশ্রী কন্যা অবন্তিকা ‘মিথ্যা’ নামক ছবির সূত্র ধরেই আত্মপ্রকাশ করেছিলেন।
তবে ৫৩ বছর বয়সেও এই অভিনেত্রী টেক্কা দিতে পারেন বলিউডের একাধিক ডিভাদের। ট্রাডিশনাল হোক কিংবা ওয়েস্টার্ন যেকোনো লুকেই তাক লাগান অভিনেত্রী। সম্প্রতি শাড়ি লুকে দেখা মিলেছে তার। এদিন গোল্ডেন প্রিন্টের একটি সুন্দর শাড়িতে ছিলেন অভিনেত্রী। খোলা চুলে, হালকা সাজে পরেছিলেন জমকালো গয়নাও। সাথে ঠোঁটে বজায় রেখেছিলেন তার সেই চির পরিচিত হাসি, যা আবারো মুগ্ধ করেছে তার অগণিত ভক্তমহলকে।
এদিন তার শেয়ার করে নেওয়া ছবিতে দেখা গিয়েছে তার স্বামী ও মেয়েকেও। দেখা মিলেছে তার ঘনিষ্ঠমহলের একাংশেরও। খুব স্বাভাবিকভাবেই সেই ঝলক নজর এড়ায়নি গোটা নেটদুনিয়ার। এদিন তার মেয়ে অবন্তিকা চেরি রেড এমব্রয়ডাড়ির একটি লেহেঙ্গা পরেছিলেন। এই পোশাকে তারা এদিন যে কোনো একটি বিবাহের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, তা অবশ্য ছবিতে নজর রাখলেই স্পষ্ট হবে। তবে বলাই বাহুল্য, এদিন যেন অভিনেত্রী এই গোল্ডেন প্রিন্টের শাড়িতে নিজের মেয়েকেও টেক্কা দিচ্ছিলেন। আপাতত ভাগ্যশ্রীর শেয়ার করে নেওয়া সেই ঝলকই রীতিমতো ভাইরাল একাংশের মাঝে।