দক্ষিণী অভিনেতা রজনীকান্তের বাড়িতে বোমাতঙ্ক। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা নাগাদ চেন্নাই পুলিশের কাছে ফোন আসে। ওই ফোনে বলা হয়, অভিনেতার চেন্নাইয়ের পোয়েস গার্ডেনের বাসভবনে বোমা রাখা রয়েছে। এই ফোন পেয়ে চেন্নাই পুলিশের বোন্ব ডিটেকশন অ্যান্ড ডিসপোজেবল স্কোয়াড ও পুলিশি কুকুর তড়িঘড়ি অভিনেতার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। যদিও করোনা আতঙ্কে প্রথমটায় বোম্ব স্কোয়াডের দলকে অভিনেতার বাড়ির সদস্যরা প্রবেশ করতে দেননি। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে চেন্নাই পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মী অভিনেতা রজনীকান্তকে ফোন করেন।
এরপর তাঁদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয় অভিনেতার বাড়ির অন্দরমহলে। চেন্নাই পুলিশের বোম্ব স্কোয়াড দল চিরুনী তল্লাশি চালালেও কিছুই উদ্ধার করা যায়নি। এদিকে অ্যাম্বুলেন্স কন্ট্রোল রুমে কে ফোন করেছিল? কেনই বা এমনটা বলা হল? খোঁজ চলছে তার। অভিনেতার বাড়িতে এরকম ঘটনার কথা জানতে পেরে স্বাভাবিকভাবেই লোক জড়ো হতে শুরু করে পোয়েস গার্ডেনের বাড়ির বাইরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ বাহিনী উপস্থিত হয়।
আশ্চর্যের বিষয়, অভিনেতার বাড়িতে বোমাতঙ্কের কথা শোনা গেলেও বোম্ব স্কোয়াড টিমকে প্রথমে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাঁদের। এরপর চেন্নাই পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মী ফোন করলে পরে স্কোয়াড টিম অন্দরে প্রবেশ করে। করোনা সংক্রমণের ফলে সতর্কতার জন্য আগামী তিন মাস রজনীকান্ত ও তাঁর পরিবার গৃহবন্দী। নিষিদ্ধ রয়েছে বহিরাগত প্রবেশ। আর তাতেই এত বিলম্ব বলে জানা গিয়েছে।