বোনাস চাই ২০ শতাংশই। দাবিতে অনড় থেকেই সরকারের ডাকা ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিল যাবে চা শ্রমিকদের সংযুক্ত মঞ্চ। শুক্রবারের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে ছিল পাহাড়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিল চা শ্রমিকদের যৌথ মঞ্চ, বাগান মালিকপক্ষ, রাজ্য সরকার।
গোর্খা জনমুক্তি পরিষদ, চা শ্রমিক সংগঠনগুলি হুমকি দিয়েছিল বোনাসের দাবি পুরোপুরি না মিটলে শনিবার থেকেই দার্জিলিং পার্বত্যাঞ্চল অচল করা হবে। চা বাগান শ্রমিকদের ২০ শতাংশ হারে পুজো বোনাসের দাবিতে চলছিল আন্দোলন । এই দাবিতে পুজোর ঠিক মুখেই হয় ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট।
শুক্রবারের বৈঠক এর আগে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক জানিয়েছিলেন, গত বৈঠকে ট্রেড ইউনিয়ন ২০শতাংশ বোনাস দাবি করেছিল। মালিকপক্ষ ১৫শতাংশ পর্যন্ত বোনাস দিতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু ট্রেড ইউনিয়ন ১৯শতাংশের নিচে নামতে চায়নি। এখন অনশন শুরু করার পর ২০ শতাংশ দাবি করছে। কতটা করা যায় আমরা দেখব।’
শেষঅবদি এত শ্রমিকের অনশনের দাবিতে পিছু হাঁটতে হল চা বাগান মালিক পক্ষকে। অবশেষে তারা ২০ শতাংশ হারেই পুজো বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্তে রাজি হয়েছে। শেষে সিদ্ধান্ত হয় শ্রমিকদের প্রাপ্য বোনাস এর প্রথম ৬০ শতাংশ এখুনি ও বাকি ৪০ শতাংশ উৎসবের মধ্যেই প্রদান করতে হবে।