ব্রিটিশ সরকার এবার পরাজিত হলেন এক ভারতীয়র কাছে। এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসকের যুক্তির কাছে নত স্বীকার কররতে বাধ্য হলেন ব্রিটিশ সরকার। গত বেশ কয়েকদিন ধরে ৩১ বছর বয়সী ডঃ যোশী জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা-র অন্তর্গত করোনা ভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসার আওতায় থাকা চিকিৎসকও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপযুক্ত সুরক্ষার জন্য প্রশ্ন তোলেন। ব্রিটেনের হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা পাচ্ছেন না ব্রিটেনের চিকিৎসকরা। এই নিয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় জোরদার প্রচার চালান।
এরপরেই ব্রিটিশ সরকার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্যে সার্জিক্যাল মাস্ক দেওয়াটা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করেন। দক্ষিণ পূর্ব ইংল্যান্ডের বেডফোর্ডশায়ারে চিকিৎসক হিসাবে অনেকদিন ধরে কাজ করেন তিনি। চিকিৎসক বলেন যে এইটা তাদের কাছে একটা বড়ো জয়। এতো লড়াইয়ের পর শেষপর্যন্ত জিততে পেরে তিনি খুব খুশি হয়েছেন। এর সাথে তিনি চিকিৎসা কর্মীদের উন্নত সুরক্ষা-সরঞ্জামের জন্যে একটি সস্পষ্ট নির্দেশিকারও দাবি তোলেন।
তাঁর এই দাবি ও প্রচারের পর শেষপর্যন্ত ব্রিটিশ সরকারের তরফ থেকে চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত গাইডলাইনগুলো আপডেট করা হয়েছে। এছাড়া সেখানে সব হাসপাতালগুলিতে অস্ত্রোপচার সংক্রান্ত বিশেষ মাস্ক সরবরাহ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে। এই এফএফপি-২ মাস্ক যেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ব্যবহার করেন সেটাও স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে। আর করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করার সময় এই এফএফপি-২ মাস্কটি ব্যবহার করতেই হবে।