বাংলার মানুষের কাছে ট্রেন একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন মাধ্যম। এই পরিবহন মাধ্যম ব্যবহার করে প্রত্যেকদিন বহু মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। এই ট্রেনের মধ্যে যাবতীয় জিনিসের পসরা নিয়ে একের পর এক মানুষ ওঠেন এবং বিক্রি বাটরা করেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে হলো ছন্দপতন। করণা সংক্রমণ পশ্চিমবাংলায় অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছড়াতে শুরু করেছে এবং এই কারণে বন্ধ হয়ে গেলো লোকাল ট্রেনের চাকা। লাখ লাখ মানুষের কাছে লোকাল ট্রেন জীবিকার অন্যতম ভরসা এবং এই লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে রীতিমতো অসুবিধায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
গতবছর সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করা হয়েছিল, তার ফলে বন্ধ হয়েছিল ট্রেন পরিষেবা। সেই সময় প্রত্যেকে অত্যন্ত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে হকার সকলের কাছেই ট্রেন বন্ধ একটি অভিশাপ এর মত। বছর ঘুরে আবারও সেই একই নির্দেশিকা জারি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুধুমাত্র মমতা ব্যানার্জি নিজে নন আরও বেশকিছু রাজ্যে, করোনা পরিস্থিতি সামলানোর জন্য লকডাউন ডাকা হয়েছে।
কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের লকডাউন না হলেও ভিড় কমানোর জন্য এই লোকাল ট্রেন বন্ধ ঢাকা সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু পেটের দায়ে মানুষকে তো বেরোতে হবে। তাই গাদাগাদি ভিড় হচ্ছে বাসের ডিপোতে। লাইন দিয়ে বাসে উঠছেন সাধারন মানুষ এবং শুধুমাত্র কলকাতা নয় রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেই একই চিত্র আমরা দেখতে পাচ্ছি। সকাল থেকে বিভিন্ন বাস টার্মিনাস যেমন করুনাময়ী, ধর্মতলা, বাবুঘাট থেকে শুরু করে আরো বিভিন্ন জায়গায় যাত্রীদের ভিড় আমরা দেখতে পেলাম।
কলকাতায় যারা আসেন তারা সকালবেলায় বাধ্য হয়ে বাস স্ট্যান্ড থেকে বাস ধরে এসেছেন। এর ফলে ধর্মতলা এবং বাবুঘাটের মতো জায়গায় অত্যন্ত ভিড় হয়ে গিয়েছে। বাসে উঠে কাজ আছে বহু মানুষ বাদুড়ঝোলা হয়ে নিজের কাজে যাচ্ছেন। হাওড়া বাস টার্মিনাসেও একই অবস্থা। ফলে, ট্রেন বন্ধ হলেও করোনার আক্রমণ যে কতটা কমানো যাবে সেটা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।