বিশেষ সুবিধা মিলছে পোস্ট অফিসের এই স্কীম গুলিতে, তাড়াতাড়ি জানুন
সকলেই তাদের সঞ্চিত অর্থ রাখতে ব্যাংকই বেছে নেয়। কিন্তু ব্যাংকের থেকেও অনেক ভালো স্কীম আছে ভারতীয় পোস্ট অফিসে। পোস্ট অফিসের স্মল সেভিংস স্কীম ইনভেস্টমেন্টের জনপ্ৰিয় একটি বিকল্প। স্মল সেভিংস স্কীমে ভালো রিটার্নের পাশাপাশি টাকা সুরক্ষিত থাকে। পোস্ট অফিসের একাধিক স্কীম আছে যেগুলি ভালো রিটার্ন দেয়। এমন কয়েকটি স্কীম দেখে নিন-
১. সেভিংস অ্যাকাউন্ট: সেভিংস অ্যাকাউন্টে পোস্ট অফিসে বছরে ৪ শতাংশ সুদ দেয়। অ্যাকাউন্টে কমপক্ষে ৫০০ টাকা রাখতে হবে, নতুবা পোস্ট অফিস পেনাল্টি চার্জ কাটবে। অ্যাকাউন্টে জিরো ব্যালেন্স থাকলে আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধও করে দিতে পারে।
২. মান্থলি ইনকাম স্কীম: অবসরপ্রাপ্ত কর্মী এবং প্রবীণ নাগরিকদের জন্য এই স্কীমটি বেশ লাভজনক। এই স্কীমে ৬.৬ শতাংশ হারে সুদ দেয় পোস্ট অফিস। এই স্কীমে নূন্যতম ১০০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনভেস্ট করা যাবে। যদি জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট হয় সেক্ষেত্রে ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনভেস্ট করা যাবে।
৩. রেকারিং ডিপোজিট: পোস্ট অফিসের অন্যতম জনপ্ৰিয় স্কীম রেকারিং ডিপোজিট বা আরডি। এতে আপনি ৫.৮ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে ইনভেস্ট করা যায় এই স্কীমে, সর্বোচ্চ ইনভেস্টের কোনো উর্ধ্বসীমা নেই। আরডি এর ম্যাচিউরিটি পিরিয়ড ৫ বছরের হয়৷
৪. পিপিএফ: এই স্কীমে পোস্ট অফিস ৭.১ শতাংশ হারে সুদ দেয়। এই স্কীমে ইনভেস্ট করলে আয়কর ছাড় পাওয়া যাবে। এখানে নূন্যতম ৫০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ টাকা ইনভেস্ট করা যেতে পারে।
৫. এফডি: পোস্ট অফিসের এফডিতে ১,২,৩ ও ৫ বছরের জন্য ডিপোজিট করা যেতে পারে। ১-৩ বছরের এফডিতে সুদ পাওয়া যাবে ৫.৫ শতাংশ এবং ৫ বছরের এফডিতে সুদ পাওয়া যাবে ৬.৭ শতাংশ।
৬. ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট: বছরে ৬.৮ শতাংশ সুদ পাওয়া যায় এই স্কীমে। এনএসসি এর ম্যাচিউরিটি ৫ বছরের হয়৷
৭. সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা: এই স্কীমে ৭.৬ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যাবে। ন্যূনতম ২৫০ টাকা ইনভেস্ট করতে হবে এবং সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ টাকা।
৮. কিষাণ বিকাশ পত্র: কিষাণ বিকাশ পত্রে বার্ষিক ৬.৯ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়। এই স্কীমে ন্যূনতম ১০০০ টাকা ইনভেস্ট করতে হবে এবং সর্বোচ্চ কোনও সীমা নেই। এই স্কীমের ম্যাচিউরিটি পিরিয়ড ১২৪ মাসের।