দিল্লির পর CAA বিক্ষোভে মৃত্যু মেঘালয়ে, একাধিক এলাকায় বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমথর্নে এবং বিপক্ষে সংঘর্ষ, বিক্ষোভ, মৃত্যু লেগেই আছে,রাজধানীতে হিংসার জেরে বহু মানুষ আহত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। সেই রেশ কাটতে না কাটতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে এ বার হিংসা পরিস্থিতি রুখতে মেঘালয়ে বন্ধ করা হল ইন্টারনেট পরিষেবা। পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় যে শিলং-সহ একাধিক এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় বিভিন্ন এলাকায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় উত্তেজিত এলাকাগুলিতে নামানো হয়েছে সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স (সিএপিএফ)। পূর্ব খাসি পার্বত্য অঞ্চলের ইছামতী এলাকায় শুক্রবার বৈঠক চলছিল কেএসইউ এবং অ-জনজাতি প্রতিনিধিদের মধ্যে। তখনই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। বৈঠকটি ছিল সিএএ চালু হলে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে ইনার লাইন পারমিট (আইএলপি) প্রথার উপর প্রভাব পড়তে পারে এই আশঙ্কায়, সংঘর্ষের ফলে বিক্ষোভকারীরা কয়েকটি বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে, ভাঙচুর চালানো হয় একাধিক গাড়িতে। প্রচুর সম্পত্তি ক্ষয়ক্ষতি হয়।
আরও পড়ুন : দিল্লির হিংসায় সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, দাঙ্গাবাজদের থেকে ক্ষয়ক্ষতি আদায়, জানাল দিল্লি পুলিশ
সংঘর্ষ চালকালীন লুরশাই হাইনিউতা নামের এক কেএসইউ সদস্যের মৃত্যু হয়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হন একাধিক পুলিশকর্মী।ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার নির্দেশে। মেঘালয়ের যে ছ’টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল- পূর্ব জয়ন্তিয়া, পশ্চিম জয়ন্তিয়া, পূর্ব খাসি, রি ভই, পশ্চিম খাসি এবং দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি পার্বত্য এলাকায়।