দীর্ঘ ৮ মাসের অপেক্ষার পর শেষপর্যন্ত রাজ্যে কাল থেকে লোকাল ট্রেনের চাকা গড়াবে। করোনা পরিস্থিতিতে লোকাল ট্রেন না চলায় চূড়ান্ত নাজেহাল হতে হয়েছে নিত্যযাত্রীদের। কিন্তু ট্রেন চলার ঠিক একদিন আগে কলকাতা হাইকোর্ট ট্রেন “না চালানো” নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে।
সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এজলাসে বিভিন্ন পুজোয় ভিড় নিয়ন্ত্রণ এর পরিপ্রেক্ষিতে একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি হয়। সেখানেই রাজ্যে লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে নির্দেশ দেন তিনি। জনস্বার্থ মামলার নির্দেশ সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জগদ্ধাত্রী পুজো বা কালী পুজোতে যে সমস্ত জায়গাতে ভিড় বেশি হয় সেইখানে ওইদিনের জন্য চালানো যাবে না লোকাল ট্রেন। এই বিষয়ে রেল রাজ্য এখন থেকে বৈঠক করে ঠিক করে নেওয়া ভালো। তিনি আরো জানিয়েছেন, হয়তো ভ্যাকসিন খুব তাড়াতাড়ি চলে আসবে। কিন্তু এই মুহূর্তে অসাবধান হলেই চলবে না। পুজোর দিনগুলিতে নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় লোকাল ট্রেন বন্ধ নিয়ে এখন অব্দি রাজ্য কিছু জানায়নি।
কাল থেকে লোকাল ট্রেন চালু হলে ভিড় কি করে নিয়ন্ত্রিত হবে, তা নিয়ে বেশ চিন্তায় রাজ্য। ইতিমধ্যেই রেল ও রাজ্য বৈঠক করে দু’দফায় স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর জারি করেছে। কিন্তু গাইডলাইন যাত্রীরা মানলে তো! এখনও স্টাফ স্পেশাল ট্রেন গুলিতেই প্রচন্ড ভিড় দেখা যায়। সেই সাথে যাত্রীদের সিট ছেড়ে বসা তো দূরের কথা, এমনকি অনেকের মুখে মাস্ক অব্দি থাকে না।
রেল ও রাজ্য যতটা সম্ভব সাবধানতা অবলম্বন করে ট্রেন চালানোর চেষ্টা করছে। তারা বিভিন্ন স্টেশনে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যারিকেড ব্যবস্থা ও বড় স্টেশনগুলিতে একজন নোডাল অফিসার নিযুক্ত করেছে। এছাড়াও যাত্রীরা স্টেশনে ঢুকতে গেলে তাদের থার্মাল চেকিং ও স্যানিটাইজেশন করা হবে। এছাড়াও প্রত্যেক যাত্রীর মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক। স্টেশন চত্বরে যাতে কোনোভাবেই ভিড় না হয়, তা নজর রাখবে পুলিশ।