‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল সে মরে নাই’
রবীন্দ্রনাথের বৌঠান তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। তিনি রবিকে ছেড়ে দূরে চলে গিয়েছিলেন। তিনি রবিকে ভালোবাসতেন, তবে রবির জীবনে তার স্ত্রী আসার পরে তিনি আর তার জীবনে প্রবেশ করতে চাননি, তিনি দুঃখে কষ্টে পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন।তার মতন ঘরে ঘরে এমন কত বিরহিনী নারীরা আত্মহত্যা করেছেন সে খবর আমরা কেউ রাখি না।
ভালবেসে হয়তো কখনো কোন প্রেমিক তার প্রেমিকাকে বলেছিলো ভালোবেসে সখী নিভৃত যতনে আমার নামটি লিখো তোমার মনেরও মন্দিরে শেষ পর্যন্ত আর সেই নাম কোথাও লেখা হয়নি। প্রেমের পরিসমাপ্তি ঘটে ছিল। দুজনের মধ্যে একজন কষ্টে ঘৃণায় বেছে নিয়েছিল আত্মহননের পথ। কিন্তু যদি একটু কস্ট করে বেঁচে থাকত হয়ত এক সময় নিজেই বলত, যাহার লাগি চক্ষু বুজি বহিয়ে দিলেম অশ্রুসাগর তাহারে বাদ দিয়াও দেখি বিশ্বভুবন মস্ত ডাগর
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়
পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি
অর্থনৈতিক বৈষম্য ও অর্থনৈতিক চিন্তাভাবনা বেকারত্ব আত্মহননের পথ কে বেছে নেয়। সারাদিন পরিশ্রম করার পরে কলুর বলদের মতন টানতে টানতে জীবনটাকে যখন আর বইয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না, ওই কটা টাকার মাইনেতে সংসারে যখন ভাত চড়ে না, তখন সে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়।
মনো দুঃখে আত্মঘাতী
চির নির্বাপিত ভাতি
শত মৃত তারকার
মৃতদেহ রয়েছে শয়ান
সেথায় সে করেছে পয়ান
কেন কি হয়েছিল তার
একবার শুধালে না কেহ
কি লাগি সে তেয়াগিলে দেহ
বাড়ির মানুষটা যখন একটু একটু করে ডিপ্রেশনে চলে যাচ্ছে, চুপ করে থাকে, কোন কথার উত্তর দেয় না, একা ঘরে থাকতে চায়, ঘুমোতে চায় না বা বেশি ঘুমায় তখন তাকে লক্ষ্য করুন। তার মধ্যে স্বাভাবিক কিছু হচ্ছে না, তিনি আমার আপনার মত স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে চাইছেন না, তার কোথাও সমাজের উপর, বাড়ির মানুষের উপর বিরক্তি এসে গেছে। এমন অবস্থায় তার পাশে থাকুন। একসাথে সময় কাটান।বাড়ি তে বয়স্ক আর শিশুরা এখন বড় অসহায়। মা বাবা দুজনেই চাকরি সুত্রে বায়রে। ভরসা শুধু টিভি।তাই বলি, সব সময় নাই বা পাশে থাকলেন, ঘুমোবার সময় তাকে সময় দিন। গল্প এর বই পড়ুন।
মাগো আমায় ছুটি দিতে বল
সকাল থেকে পড়েছি যে মেলা
বাচ্চাদের খেলার সময় নেই। বাবা চায় ডাক্তার হোক মা চায় ইঞ্জিনিয়ার, একবারও কি আমরা ভেবে দেখেছি ছোট শিশু টা কি হতে চায়? না প্রশ্ন করি না। শুধু নিজেদের ইচ্ছা তাদের উপরে চাপিয়ে দি। এতে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। মৃত্যুর পথ বেছে নিচ্ছে।
আব্রাহাম লিংকন, হ্যারি পটার তারা ডিপ্রেশন কাটিয়ে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। ডিপ্রেশন মন খারাপের যখন প্রথম পর্যায় তখন সেই মানুষটিকে, নিজের সন্তানকে ধ্যানকরান,যোগাভ্যাস তৈরি করুন এবং আমরা আপনারা যারা আসে পাশে রয়েছি তারা কখনো তাকে মানসিক রোগী হিসেবে দেখব না, তার সংগে বন্ধুর মতন মিশব। আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার আগে হয়তো একবারও ভাববে সে
মরণ এলে হঠাৎ দেখি
মরার চেয়ে বাঁচাই ভালো।
বাচ্চাদের খেলার সময় নেই। বাবা চায় ডাক্তার হোক মা চায় ইঞ্জিনিয়ার, একবারও কি আমরা ভেবে দেখেছি ছোট শিশু টা কি হতে চায়? না প্রশ্ন করি না। শুধু নিজেদের ইচ্ছা তাদের উপরে চাপিয়ে দি। এতে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। মৃত্যুর পথ বেছে নিচ্ছে।
আব্রাহাম লিংকন, হ্যারি পটার তারা ডিপ্রেশন কাটিয়ে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। ডিপ্রেশন মন খারাপের যখন প্রথম পর্যায় তখন সেই মানুষটিকে, নিজের সন্তানকে ধ্যানকরান,যোগাভ্যাস তৈরি করুন এবং আমরা আপনারা যারা আসে পাশে রয়েছি তারা কখনো তাকে মানসিক রোগী হিসেবে দেখব না, তার সংগে বন্ধুর মতন মিশব। আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার আগে হয়তো একবারও ভাববে সে
মরণ এলে হঠাৎ দেখি
মরার চেয়ে বাঁচাই ভালো।
Written by – শ্রেয়া চ্যাটার্জী